নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএস কাইয়ুম উদ্দীন আহমেদ পদত্যাগ করতে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিলো। অবশেষে শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া আল্টিমেটামের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবারের (১৩ আগস্ট) বেলা এগারোটার মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বলেন। অন্যথায় ফের আন্দোলনের হুমকি প্রদর্শন করা হয়।
ছাত্র আন্দোলনে বিএম কলেজের সমন্বয়ক মুহাইমিনুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, উপাধ্যক্ষ স্যার কখনোই শিক্ষার্থী বান্ধব ছিলেন না। তিনি অনেক আগ থেকেই বিএম কলেজ ছাত্রলীগকে লালন পালন করে আসছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সাথে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সর্বপ্রথম বহিরাগত ছাত্রলীগ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা বিধিমালা লঙ্ঘন করে এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকায় সোমবার (১২ আগস্ট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে। সেই অনুযায়ী তিনি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন।
ছাত্রলীগকে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এএস কাইয়ুম উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমি সরকারের একজন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা। সুতরাং ক্ষমতায় যে সরকার থাকবে, সে সরকারের সক্ষতা রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু শিক্ষার্থীরা আমাকে চাচ্ছেন না, তাই আমার কারণে যেন ফের আন্দোলন না হয় সেই কারণেই আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আমিনুল হক কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।