১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

অর্থ বরাদ্দ না আসায় ভোলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ বন্ধ

ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলা জেলায় অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় এবং গত কয়েক বছরের ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ না করায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে। করোনার জন্য এতদিন কাজ বন্ধ ছিল। এখন অর্থভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ বন্ধ থাকলে সরকারের শিক্ষা খাতের বড় উদ্যোগ ভেস্তে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ রেখেছেন। জেলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিন্স ইউনিয়নের জিএম হাই স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পর ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে।

ঠিকাদার ছামাদ রবিন জানান, ৭০ লাখ টাকার কাজ শেষ করেছি। গত অর্থবছরে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এবছরে বরাদ্দ না আসায় কোনও বিল পাইনি। তাই কাজ বন্ধ রেখেছি। সব দফতরে বছরে কমপক্ষে চার বার ফান্ড আসে। এলজিইডিতে সেপ্টেম্বরে ফান্ড এসেছে আবার এই ডিসেম্বরেও উন্নয়ন কাজের ফান্ড এসেছে। অথচ শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগে চলতি অর্থবছরের ৬ মাস গেলেও কোনও ফান্ড আসেনি।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ভোলা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজস্ব খাতের আওতায় নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আওতায় ভোলা জেলায় ৫০-৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণ চলছে। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় এবং বিগত কয়েক বছরের ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ না করায় ভোলা জেলায় অর্ধশতাধিক স্কুল ভবন নির্মাণ কাজের মধ্যে অধিকাংশই বাস্তবায়ন বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদাররা। প্রতি মাসে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদনের সঙ্গে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের একাধিক প্রকৌশলী জানান, ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রকৌশলী পদের দায়িত্ব নিয়ে নানা রকম লবিং চলছে। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আকতার মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্থ বরাদ্দ না চাওয়ায় অর্থ পাওয়া যায়নি। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজ স্থবির অবস্থায় রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ