পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ
দুপুর গড়িয়ে রাত পোহালে-ই আগামীকাল ২৮ ডিসেম্বর কুয়াকাটা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে জেলা নির্বাচন কমিশনার,জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে রয়েছে। কিন্তু তাদের রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে নানা মহলে প্্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচনী এলাকা থেকে বহিরাগত তারাতে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকলে তা বাস্তবায়নের উদ্দ্যেগে নেই সংশ্লিষ্টদের। নির্বাচনী এলাকা থেকে বহিরাগত ত্যাগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক জেলা রির্টানিং অফিসার ও পুলিশ বিভাগকে অবহিত করা হলেও সংশ্লিষ্টদের নিরব ভুমিকায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে যথেষ্ট আশংকা দেখা দিয়েছে। রোববার দুপুরে নির্বাচনী নানা মুখী শঙ্কায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র (জগ প্রতীক) প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদার।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন-২৮ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিনকে সামনে রেখে নৌকার মেয়র প্রার্থী আঃ বারেক মোল্লার নির্দেশে তার ছেলে মাসুদ মোল্লা এবং ভাই লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লার বাহিনীরা আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর দফায় দফায় হামলা হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। এঘটনায় মামলা হলেও কোন আইনী সহায়তা পাইনি। ভোট গ্রহনের দিন তার লোকজনকে ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। নৌকার প্রার্থীর নেতৃত্বে গোটা নির্বাচনী এলাকায় সহ¯্রাধিক বহিরাগত কুয়াকাটা এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে সাধারন ভোটদের মধ্য চরম শঙ্কা বিরাজ করছে। ভোটারদের ইভিএম পদ্ধতিতে নৌকা প্রতীকে সীল মারতে নানা কৌশলে মরিয়া হয়ে উঠেছে নৌকার প্রার্থী বারেক মোল্লা ও তার নির্বাচনী কারিগর।
নৌকার প্রার্থীর আরও অভিযোগ-পটুয়াখালী চার আসনের সাংসদ অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মুহিব গত শুক্রবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় অংশ নিয়ে ভোট নিয়ে নৌকার পক্ষে নানা পরিকল্পনায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি বর্তমানে হোটেল পর্যটনে অবস্থান করছেন। এ প্রসঙ্গে সাংসদ মুহিব বলেন-আমি এলাকায় থাকলেও হোটেলে রয়েছি। আমি কোন নির্বাচন নিয়ে মাঠে কাজ করছিনা। বহিরাগতদের মধ্য বেশ কিছুদিন ধরে কুয়াকাটার হোটেল পর্যটনে অবস্থান করছেন বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও তার বাহিনী। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ-নৌকার পক্ষে ভোট নিয়ে নীল নকশা অণ্যতম কারিগর মেয়র জুয়েল। নির্বাচনী আচারন বিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনী এলাকা ও হোটের পর্যটনে রয়েছে যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ অন্যান্য উপজেলার নেতাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াজুল হক জুয়েলকে একাধিবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে হোটলে বনানীতে অগনতি বহিরাগতদের অবস্থান থাকলেও হোটেল বনানীর ম্যানেজার পিকু তা অস্বীকার বলেন রাতেই তা চলে গেছে। আবাসিক হোটেল সাউথ বাংলার ম্যানেজার শাহিন খান বলেন-বহিরাগত যারা ছিলেন তারা রাতেই চলে গেছে। এখন আর নাই। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক ভুঞা বলেন-আমি কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আসছি, আমি ওখানে এসে কথা বলবো বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেয়।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন-কুয়াকাটা পৌর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেলা প্রশাসনের বিশেষ নির্দশনা রয়েছে। মাঠে পর্যাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রটসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। আশাকরি সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। ##