আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অমান্য করে বরিশালের আগৈলঝাড়ার বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না থাকার সুযোগে প্রধান শিক্ষকের সাথে কয়েকজন শিক্ষক মিলে এই টাকা আদায় করছে। উপজেলার অন্য বিদ্যালয়গুলো খরচের জন্য ২০ থেকে ৫০টাকা আদায় করছে। এই করোনার সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করেছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ মত সারা দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে বিদ্যালয়গুলো। উপজেলার বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন খরচের জন্য ২০ থেকে ৫০ টাকা আদায় করলেও বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় আদায় করছে ২০০ থেকে ৩০০টাকা পর্যন্ত। বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীতে ১২৫জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৫হাজার টাকা, সপ্তম শ্রেনীতে ১৩৫জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৭হাজার টাকা, অষ্টম শ্রেনীতে ১৪১জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩৫হাজার ২শত ৫০ টাকা ও নবম শ্রেনীতে ১৬৫জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৯হাজার ৫শত টাকাসহ মোট ৫শত ৬৬জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১লক্ষ ৩৬হাজার ৭শত ৫০ টাকা পরীক্ষার নামে আদায় করছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক মিয়া। এই টাকা আদায়ের ব্যাপারে বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকরা বিরোধীতা করলেও তা কর্নপাত করেনি প্রধান শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না থাকার সুযোগে প্রধান শিক্ষক স্থানীয় কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে বারবার এই ধরণের কাজ করে যাচ্ছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ে খরচের কথা বলে এই টাকা আদায় করা হলেও পরে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হয়। এব্যাপারে বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈর নির্দেশে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে বিদ্যালয় গুলো বন্ধ থাকলেও আমাদের কোন কার্যক্রম বন্ধ নেই। অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন টাকা আদায় করা যাবে না বলে জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, আমাদের অফিসের টাকা নেওয়ার কোন সিদ্ধান্ত নেই। সরকারের কঠোর নির্দেশ রয়েছে এই সময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কষ্ট নিয়ে কোন কিছু করা যাবে না। যদি এই ধরণের কোন কাজ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করে থাকে সেই বিদ্যালয়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
