বরিশাল বাণী: শেবাচিমহা হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘদিন বরিশালবাসীর ক্ষোভ থাকলেও সব থেকে বেশি অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হয় অর্থোপেডিক্স বিভাগে। এখানে রয়েছে এক ডন এর অলিখিত সাম্রাজ্য। আওয়ামী পন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপ এর সাধারন সম্পাদক হবার সুবাদে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে রোগীদের থেকে হাতিয়ে নিতেন বিপুল অর্থ আর তার এই কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে করার জন্য তার অধীনস্ত ডাক্তার এবং চথুর্ত শ্রেনীর কর্মচারীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন এক চক্র।
এই চক্র অর্থোপেডিক্স অপারেশনে ব্যবহৃত প্লেট স্ক্রু যা রোগীরা নগদ অর্থে ক্রয় করে তার অতিরিক্ত দাম ধার্য করতে সরবারহকারীদের বাধ্য করে সেই থেকে অর্থ আত্মসাত করেন।
এছাড়া অপারেশনের সিরিয়াল নিয়েও চলে বানিজ্য। এমনকি হাসপাতাল থেকে রোগী বের করে প্রাইভেটে অপারেশন করার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অতি পুরান। এ অভিযোগ এতটাই ব্যপক ছিল যার কারনে বিগত সরকারের স্বাস্থ্য সচিব পর্যন্ত প্রকাশ্য মিটিং এ এই অভিযোগ তুলেছিলেন।
তার এই দূর্নীতির চক্রের বিরুদ্ধে গেলেই শারিরীক এবং মানসিক হামলার শিকার হতে হয়। বাদ যায় না চিকিথসকগনও। কিছুদিন পূর্বে মেডিসিন এর ডা. মাসুদ খান ল্যাব বানিজ্য ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় শেবাচিম প্যাথলজির ডা.আশিস যিনি সুদীপ গ্যাং এর সদস্য, ক্ষেপে যান। যার ফলে ডা সুদীপের নির্দেশে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা ডা মাসুদ এর ইসলামী লেবাস কে ইস্যু করে জামাত শিবির ট্যাগ দিয়ে শহীদ আবরার এর মত রুমে আটকে হামলা চালায় যাতে ডা.মাসুদ এর কান এর পর্দা ফেটে যায়।
এহেন ভয়ংকর চরিত্রের ডা সুদীপ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সরকার পতন ঘটলে গা ঢাকা দিলেও এক বিদেশী রাষ্ট্রের দুতাবাসের সাথে সুসম্পর্কের গল্প ছড়িয়ে চেষ্টা করছে তার দূর্নীতির দুষ্টচক্রকে অব্যাহত রাখার।
বিস্তারিত আসছে….