আমতলীতে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্নলঙ্কার লুট, হামলায় গৃহকর্তা ও তার মেয়েসহ আহত- ৭

হারুন অর রশিদ. আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া বাঁশতলা গ্রামে ইউসুব জামান খলিফার বাসায় এক দুধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। ডাকাতরা নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং ৩ ভরি স্বর্ন লুট করে নিয়ে যায়।
বাঁধা দেওয়ায় ডাকাতদের হামলায় গৃহকর্তা এবং তার মেয়েসহ ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ডাকাতদের রামদার কোপে আহত কন্যা নুসরাত জাহানকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউসুব জামান তার দুই মেয়ে নুসরাত জাহান ও তামান্না এবং স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও নাতিদের নিয়ে ২ ইউনিটের বাসায় বসবাস করে আসছেন। সোমবার রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি ডাকাত দল সামনের লোহার মুল গেট ও কাঠের দরজা শাবল দিয়ে ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। ওই সময় সকলকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা এবং ৩ ভরি স্বর্নলঙ্কার ও ৮টি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। টাকা ও স্বর্ন লুটের সময় গৃহকর্তা ইউসুব জামান ও তার মেয়েরা বাধা দিলে ডাকাতরা তাদের উপর রামদা এবং লোহার রড দিয়ে হামলা করে। হামলায় রামদার এলোপাথারি কোপে নুসরাত জাহান (৩২) মাথা, হাত এবং পায়ে আঘাতের ফলে গুরুতর আহত হন। আহত নুসরাতকে ওই রাতেই মুমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহত অন্যরা হল গৃহকর্তা ইউসুব জামান (৬৬), স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৫), মেয়ে তামান্না (২৫) তার স্বামী নাদিম হোসেন (৩০) ছোট মেয়ে ইন্নি (১৮) ও নাতি আড়শী (৮) তাদেরকে আমতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গৃহকর্তা ইউসুব জামান জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ৪ থেকে ৫ জনের একটি ডাকাত দল বাড়ির সামনের লোহার গেট এবং ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দাঁড়ালো অস্ত্রের মুখে আমাদের সকলকে জিম্মি করে টাকা স্বর্নলঙ্কার এবং ৮টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আমাদের উপর হামলার সময় ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
গৃহকর্তা ইউসুব জামান আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ এমএ কাদের মিয়ার বেয়াই এবং তার পুত্র বরগুনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যাডঃ আরিফ উল হাসান এর শ্বশুর।
ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু সোমবার সকালে ডিবির ওসি মোঃ বশিরুল আলম ও বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এখনো কোন মামলা হয়নি। তবে ওই ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং সন্দেহভাজনদের আটকের চেষ্টা চলছে। #