১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে ফুসলিয়ে এক শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণ!

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে ১৩ বছরের এক শিশুকে ফুসলিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে রুবেল খলিফা (২৮) ও সহায়তাকারী রাশিদা বেগম (৪৫) এর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক ও সহায়তাকারীকে গ্রেফতার করে ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, রবিবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের হতদরিদ্র, অন্ধ ও প্রতিবন্ধি এক ব্যক্তির শিশু কন্যাকে প্রতিবেশী রাশিদা বেগম ফুসলিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে ওই ঘরে একই ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামের সেরাজ উদ্দিন খলিফার পুত্র রুবেল খলিফা প্রবেশ করে। রাশিদা বেগম ঘর থেকে বাহিরে বের হলে রুবেল খলিফা ভিকটিম শিশুটির মুখ চেপে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি ভিকটিম তার দাদাকে জানায়। এর পূর্বেও প্রতিবেশী রাশিদা বেগমের সহায়তায় ওই ভিকটিম শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রুবেল খলিফা একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে ভিকটিম শিশুটি জানায়।

একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে ওই দিন (রবিবার) রাতেই রুবেল খলিফা ও সহায়তাকারী প্রতিবেশী রাশিদা বেগমকে আসামী করে ভিকটিমের দাদা নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার এসআই মোঃ শহিদুল আলম অভিযান চালিয়ে রুবেল খলিফা ও সহায়তাকারী রাশিদা বেগমকে গ্রেফতার করে।

আজ (সোমবার) সকালে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেরারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুপুরের পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ শাকিব হোসেন তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

ভিকটিম শিশুটির দাদা জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলে প্রতিবেশী রাশিদা বেগম আমার নাতনীকে ফুসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে রুবেল খলিফা মুখ চেপে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে আমাকে জানায়। এ ঘটনার পূর্বেও রুবেল খলিফা প্রতিবেশী রাশিদা বেগমের সহায়তায় আমার নাতনী ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে আমাকে জানায়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহআলম হাওলাদার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ও ভিকটিম শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ