হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পরিষদ কার্যালয়ের সামনে তাফাল বাড়িয়া নদীর উপড় নির্মিত আয়রন ব্রীজ (লোহার সেতুটি) নিজ অর্থায়নে মেরামত করে লোকজন ও মোটর সাইকেল চলাচলের উপযোগী করে দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সোনাখালী, আলগী, মুন্সীরহাট, গেড়াবুনিয়াসহ ৫টি গ্রামের লোকজন ও শিক্ষার্থীরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে, সোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ও সোনাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ আয়রণ ব্রীজটি (লোহার সেতু) পারাপার হয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। গত ৬ বছর পূর্বে মাটি কাটার বেকু নিয়ে একটি ট্রলি ওই আয়রন ব্রীজটি পার হওয়ার সময় সেতুর মাঝখান থেকে ভেঙ্গে ট্রলিসহ নদীর মধ্যে পড়ে যায়। এরপর থেকে সেতুটি বিধ্বস্থ অবস্থায়ই পড়ে রয়েছে। এতে ওই সকল গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের ইউনিয়ন পরিষদ ও বিদ্যালয়ে আসতে যেতে ভোগান্তিতে পড়ে। এ নিয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সরকারীভাবে অদ্যবদি সেতুটি মেরামত করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।
গত এক সপ্তাহ ধরে ওই ইউনিয়নের সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বরগুনা জেলা যান্ত্রিকযান ত্রি-হুইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা নিজ অর্থায়নে কাঠ দিয়ে আয়রন ব্রীজটি (লোহার সেতু) মেরামত করে ৫টি গ্রামের লোকজন ও মোটর সাইকেল চলাচলের উপযোগী করে দিয়েছেন। এতে ওই গ্রামের লোকজন ও শিক্ষার্থীদের ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্বুল- কলেজে আসতে সমস্যা কিছুটা দূর হয়েছে বলে একাধিক ভূক্তভোগী গ্রামবাসী জানান।
গেড়াবুনিয়া গ্রামের শানু হাওলাদার বলেন, সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খোকন মৃধা ব্রীজটি মেরামত করায় আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে আসতে এখন সুবিধা হয়েছে। আগে আমাদের ৪/৫ মাইল জায়গা বেশী ঘুরে ইউপি কার্যালয়ে যেতে হতো।
আলগী গ্রামের গৃহবধূ সুফিয়া বেগম জানান, মোগো চেয়ারম্যান প্রার্থী খোকন মৃধা ভাঙ্গা ব্রীজ ঠিক (মেরামত) কইর্যা দিয়া মোগো বেমালা উপকার করছে। আগে মোগো বেমালা (অনেক) দুর ঘুইর্যা ইউনিয়ন অফিসে যাওন লাগতে।
সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা মুঠোফোনে বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের মানুষ অনেক দুর্ভোগ পোহাইয়া কাজ কর্মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসতো। তাদের দুর্ভোগ লাগব করার জন্য আমার নিজ অর্থায়নে কাঠ দিয়ে ব্রীজটি মেরামত করে দিয়েছি।