১লা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে ভারি বর্ষণে তরমুজ চাষিদের মাথায় হাত! কোটি কোটি টাকার ব্যাপক ক্ষতি।

হারুন অর শিদ আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে ভাড়ী বর্ষণের কারনে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তরমুজ চাষীরা বিপাকে। তরমুজ গাছ ও ফলন পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে জানিয়েছেন কৃষকরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার এ বছর ৬ হাজার ২’শ ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছে। চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি হলেও এক সপ্তাহের মধ্যে অনেক তরমুজ কাটার উপযোগী হবে। গত চার দিনের ভাড়ী বর্ষণে তরমুজ চাষিরা মহাবিপাকে পরেছে। কৃষকদের মাথায় হাত। বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি আরো দুই একদিন স্থায়ীত্ব হলে সর্বশান্ত হয়ে যাবে কৃষক ও তরমুজ চাষীরা। এতে কোটি কোটি টাকার লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। পথে বসে যাবে কৃষক ও তরমুজ চাষীরা।
সরেজমিনে তরমুজ ক্ষেত ঘুরে দেখাগেছে, বৃষ্টির পানিতে তরমুজ ক্ষেতে পানি জমে গেছে। অনেক তরমুজে শিল পরার কারনে নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা পানি নিস্কাশনে কাজ করছেন।
উপজেলার আঠারগাছিয়ার শহীদ মাস্টার বলেন, এ বছর তরমুজ চাষ করেছি ফলনও ভালো হয়েছে। হটাৎ এ বৃষ্টির কারনে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।
গুলিশাখালীর ফারুক মিয়া, প্রথম কিছু তরমুজ বিক্রি করেছি, যা আছে তা আর বেচার সম্ভাবনা নেই।
কুকুয়ার মেহেদী হাসান বলেন, হটাৎ এই কয়দিন বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেত শেষ। মোরা এহন গরিব হইয়া গেছি। মাঠে সেচ দেওয়ার জন্য মেশিন বসাইছি, হ্যাতে কিচ্ছু হইবে বইল্লা মনে হয় না।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, এ কদিনের বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। কৃষকদের ক্ষেতের পানি নিস্কাশনের পরামর্শ দিয়েছি।

আমতলী, বরগুনা

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ