আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি ::: বরগুনার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্ধকদের মধ্যেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৬ জন আহত হয়েছে। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আমতলী পৌরসভার বাঁশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান সাধারণ ভোটার।
গুরুতর আহত ফরিদ ও নিজামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আমতলী পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোন প্রতিকের মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে লিফলেট বিতরণের নামে ভোটারদের হুমকি দেয় এমন অভিযোগ অপর হ্যাসঙ্গার প্রতিক মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁনের সমর্থকদের। এ নিয়ে বাঁশতলা এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ফরিদ ও নিজাম প্যা দাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যেপ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্য্ক্ষদশী হাসান, আরিফ গাজী ও মোশাররফ তালুকদার বলেন, মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা এলাকায় প্রবেশ করে লিফলেট বিতরনের নামে ভোটারদের হুমকি দিয়ে। এ নিয়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ ভোটাররা সঙ্কিত।
মেয়র প্রাথী নাজমুল আহসান খাঁন বলেন, আমার সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছিল। এমন সময় মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা এলাকার ঢুকে ভোটারদের হুমকি দেয় এবং আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হয়েছে।
মেয়র প্রাথী মতিয়ার রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আমার সমর্থকরা এলাকায় ঢুকে ভোট চাচ্ছিল। ওই সময় তারা আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্যর কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, আহত একজনকে পটুয়াখালী পাঠানো হয়।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।