শামীম আহমেদ ::: কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি এস.এম জিলানী বলেছেন- আমাদের শক্তির অনুপ্রেরনাকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার এরসাদ থেকে শুরু করে ১/১১ মঈন উদ্দিন ও ফকরুদ্দিনের সাথে ক্ষমতার লোভে শেখ হাসিনার মত আপোস করে নাই।
তিনি বলেন- শেখ হাসিনা ক্ষমতা থাকার পরেও দেশের দূর্নীতি লুঠপাঠের কারনে আওয়ামী লীগে কোন উচ্ছাস নেই। দেশের সাধারন মানুষ শত কষ্ঠে থেকেও তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আছে যা শেখ হাসিনার মধ্যে এখন নেই। তাই বলছি বেনজির গেছে যে পথে আজিজের পর শেখ হাসিনাও যাবে সেই পথে।
জিলানী আরো বলেন- বাংলাদেশের মানুষ এখন আর শেখ হাসিনার সাথে নেই দেশবাশি এখনও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাথে আছে বলেই শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচনে কেহ ভোট কেন্দ্রে যাই নাই। বাংলাদেশে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার মত আর কিছুই নাই পালিয়ে যাওয়া ছাড়া।
অপর দিকে সাধারন সম্পাদক রাজিব আহসান বলেছেন, শেখ হাসিনা এবার আর ৫ ছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আমরাতো বিরোধী দল আমরা বেনজিরকে ধাওয়া করি নাই। তাহলে ওরা এত ক্ষমতাধর ব্যাক্তি হয়ে কেন পালিয়ে যায়। বেনজির যেভাবে দেশ থেকে হাওয়া হয়ে গেছে শেখ হাসিনাও হাওয়া হয়ে যাবে নেতা কর্মীরা একটু অপেক্ষা করেন মনোবল ভাংবেন নাই আমরাও আপনাদের মত শেখ হাসিনার অন্যায়-অত্যাচারের জেল-জুলুম নির্যাতনের বহু শিকার হয়েছি।
আজ শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে নগরীর আমতলা রোডস্থ লায়লা কমিউনিটি কনভেনশন হলে গত ২৮ই অক্টোবর এক দফা আন্দোলনের সময় বরিশাল মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যেসকল নেতা কর্মীরা সরকারী বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় জেল হাজতবরনকারী নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা স্বাক্ষাত অনুষ্ঠানে এ সকল কথা বলেন।
বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদল আহবায়ক মসিউর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব খান মোঃ আনোয়ার,জেলা সদস্য সচিব কামরুল ইসলামের সঞ্চলনায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ফকরুল ইসলাম রবীন, কাজী রেজওয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সোহেল,সরওয়ার ভূইয়া রুবেল,ফয়সাল আহমেদ খান,আলাউদ্দীন জুয়েল, সহ সাধারন সম্পাদক গোলাম মোর্সেদ রাসেল, সহ-সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সহ-দপ্তর সম্পাদক ওসমানগনি, বরিশাল জেলা সহ সভাপতি নিজামুর রহমান নিজাম প্রমুখ। পরে নির্যাতিত ও কারাবরনকারী নেতাকর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
