হারুন অর রশিদ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে যাওয়ার পরে চলছে রেখে যাওয়া ক্ষত চিহ্নের মোমতের কাজ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ১৬ হাওলাদার খাল সংলগ্ন জলকাপাট ও বেরীবাঁধ ভেঙ্গে ৮টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। আজ (বৃহস্পতিবার) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ভেঙ্গে যাওয়া বেরীবাঁধটিতে মাটি ভর্তি বস্তা ফেলে মেরামত কাজ শুরু করেন। গতকাল বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জো’য়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পায়রা নদীসহ সকল ছোট-বড় খালের পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই দিন জোয়ারের পানির চাপে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ১৬ হাওলাদার খাল সংলগ্ন জলকাপাট ও বেরীবাঁধ ভেঙ্গে ওই ইউনিয়নের কলাগাছিয়া, হরিদ্রাবাড়িয়া, গুলিশাখালী, কালিবাড়ী, ফকিরখালী গ্রামসহ ৮টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে। ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে গেলেও ভরা পূর্ণিমার কারনে আজও পায়রা নদীসহ ছোট-বড় খালের পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এ কারনে পানিবন্দি মানুষের কষ্ট লাগবে দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান সুজন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ্য বেরীবাঁধটির দ্রুত সংস্কার কাজ চলছে। গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধটি সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
