নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় মসজিদের ইমামকে বহিষ্কার করা নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে মতোবিরোধ থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরে একপক্ষ মসজিদে দান করা ফ্যান, মাইক ও আইপিএস খুলে নেয়।
উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কাজীরা গ্রামের মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মসজিদের ফ্যান, মাইক ও আইপিএস খুলে নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হাইকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন মসজিদ কমিটির সভাপতি। পরে ইমামপন্থী মুসল্লিরা মসজিদে দান করা ফ্যান, মাইক ও আইপিএস খুলে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি মসজিদে স্থাপন করেন।
স্থানীয় যুবক মেহেদী হাসান ইমরান জানান, গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের আগে স্থানীয় খলিল মীরের ছেলে খসরু ওরফে বাবু মীর, ইয়াসিন সরদারের ছেলে ইয়ামিন সরদার, খোরশেদ শেখের পুত্র সাইফুল শেখসহ কয়েকজন মিলে মসজিদের ফ্যান, মাইক ও আইপিএস খুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত মসজিদ ভবনে স্থাপন করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবু মীর বলেন, মসজিদের ইমাম সাহেবকে কমিটির সভাপতি মুসল্লিদের কাউকে না জানিয়ে অব্যাহতি দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এলাকাবাসীদের সঙ্গে দাম্ভিকতা দেখান, যার ফলে মুসল্লিদের টাকায় ক্রয় করা ফ্যান, মাইক ও আইপিএস খুলে পুরাতন মসজিদভবনে স্থাপন করেছি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন মোল্লা জানান, মসজিদের ইমাম সাহেব কোরআন-হাদিসের বাহিরে গিয়ে ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ কবজের মাধ্যমে নারী-পুরুষের অপচিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এর ফলে পর্দা খেলাপ হয়। বিষয়টি বারবার নিষেধ করা সত্তেও তিনি শোনেন না। তাই তাকে অব্যাবহি দেওয়া হয়েছে। তার এই ঝাড়ফুঁকের অপচিকিৎসা ব্যবসা চালু রাখার উদ্দেশে স্থানীয় লোকজনদেরকে ক্ষেপিয়ে মসজিদকে ভাগ করার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য জয়নাল আবেদীন ডাকুয়া বলেন, ওই জামে মসজিদের বর্তমান কমিটি নিয়ে বিরোধ চলছে। একই সঙ্গে ইমাম সাহেবকে বহিষ্কার করার ইস্যু নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হবে।