মামুন-অর-রশিদ / এম সাইফুল :
মাদারীপুর জেলার হাজির আলী গ্রামের মৃত হেলাল মাতুব্বরের স্ত্রী রাশিদা বেগম। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উজিরপুর মডেল থানায় ঘটান লঙ্কাকান্ড। ক্রোক হওয়া মালমাল ফেরৎ আনতে থানায় গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পুলিশের বিরূদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ তোলেন। গালে সিগারেটের ছ্যাকা ও ওসি শিশির পাল তাকে পিটিয়েছেন বলে মিডিয়ার কাছে বলেন। একজন নারী হিসেবে তাকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদটি দেশব্যাপী ভাইরাল হয়। তদন্ত কমিটি গঠন ও তাৎক্ষণিক এক পুলিশ কনষ্টেবলকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
ধীরে ধীরে বেড়িয়ে আসতে থাকে রাশিদার আসল রূপ। বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার খবর প্রকাশ হতে থাকে। তদন্ত কমিটি ঐ নারীর খোঁজ করেও কোন কুল কিনারা পাননি। প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাদের কাছেও।
গত রোববার আবার ঘটিয়েছেন নতুন কান্ড। সেখানে টাকা কামানোর নতুন ফাঁদ পাতলেও ঘটনাটি ভিডিও হওয়ায় ফাঁস হয়ে যায় আসল রহস্য।
জানা গেছে, এয়ারপোর্ট থানাধিন সাতমাইল এলাকায় হালিম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বাসাভাড়া নেন রাশিদা বেগম ও তার মেয়ে। প্রথম মাসে অচেনা লোকজনের অযাচিত আনাগোনা দেখে রাশিদাকে বাসা ছাড়তে বলেন বাড়িওয়ালা। অবশেষে বাসা ছাড়ার সময় বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ১৩শ টাকা ধার নেয় সে। বেশ কিছুদনি পর গত রোববার সাতমাইল বাজারে রাশিদাকে দেখে পাওনা টাকা ও বকেয়া বাসা বাড়া চায় হালিম। এতে রাশিদা ক্ষিপ্ত হয়ে জনসমক্ষে হালিমকে ধাক্কা মারে। চিৎকার করে বলতে থাকে, তুই আমার কাছে কোন টাকা পাবিনা, এক টাকাও দিবনা। কিছুক্ষণ পর বলতে থাকে আমি তোর কাছে ৫০ হাজার টাকা পাবো। অনেক অশ্রাব্য ভাসাও ব্যবহার করে রাশিদা।
অবশেষে এয়ারপোর্ট থানায় রাশিদা একটি অভিযোগ জানায়। তাতে সে বলে, বাড়িওয়ালা হালিম তাকে মারধর করেছে। এ সময় ২৫হাজার টাকা ছিনতাই হয়েছে। অভিযোগ শেষে রাশিদা ও তার মেয়েকে নগরীর হাসপাতাল রোডের হোটেল প্যারাডাইসে যেতে দেখা গেছে।
সংস্লিষ্ট এসআই সাইদুর রহমান বলেন, বাড়িওয়ালা বকেয়া বাসাভাড়া চাওয়ায় তাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়েছে। অভিযোগ দেওয়ার পরে উভয় পক্ষই স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হবে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। রাশিদার সেই কীর্তি দেখতে ক্লিক করুন….