ভোলা প্রতিনিধি :: এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট। নদীতে সামান্য জোয়ারেরই তলিয়ে যায় পুরো ফেরিঘাটটি। এ কারণে ফেরি থেকে কোনো গাড়িই উঠা-নামা করতে পারছে না। ফলে প্রতিদিন গড়ে ৩/৪ ঘণ্টার ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী-পরিবহন শ্রমিক ও ফেরি কর্তৃক্ষকে।
ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটটি মেরামতের ব্যাপারে বার বার অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিটিসি) কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের দীর্ঘতম ফেরিঘাট ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস। এই রুট দিয়ে দেশের ২১ জেলার যাতায়াতের সহজ মাধ্যম। কিন্তু গত এ মাস ধরে ভোলার ইলিশা ঘাটটি এখন ব্যবহারের অনেকটা অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আর মেরামত হয়নি পন্টুন। এ কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে নদীতে জোয়ার এলে তলিয়ে যায় পুরো ঘাট। চারদিকে পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘাট। পানির কারণে ফেরি থেকে কোনো যানবাহন উঠা-নামা করতে পারছে না। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে অনেকেই।
কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা জানালেন, ঘাটের একের পর এক সমস্যা লেগে রয়েছে। কখনো জোয়ারের পানি কখনো পন্টুন কখনো আবার ফেরি সংকট।
মাকসুদ, আলামিন ও সিহাব বলেন, গত ৩/৪দিন ধরে ঘাটে বসে আছি ফেরিতে যেতে পারছি না ট্রিম কমে গেছে। আমাদের পরিবহনে নারিকেলসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এদিকে হাইওয়াটার ঘাট না থাকায় জোয়ার-ভাটা ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার অধিক সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। এতে কমে গেছে ফেরির ট্রিপ। ফলে উভয় পাড়ে শত শত যানবাহনের দীর্ঘজট সৃষ্টি হচ্ছে।
ইলিশা ফেরিঘাটের সমস্যার ব্যাপারে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন বিআইডব্লিটিসির কর্মকর্তা কেএম এমরাম।
তিনি বলেন, আগে যেখানে ফেরি দৈনিক ১২ বার চলতো আর খরচ পড়তো ৬ বার। এখন প্রতিদিন গড়ে ১০০ গাড়ি পার হতে পারে না। তাই ঘাটে জট লেগে থাকে। তবে উভয় পাড়ে দুটি হাইওয়াটার ঘাট সংযুক্ত করলে এ সমস্যা থাকবে না।
এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইলিশা ঘাটটি মেরামতে আমরা কাজ করেছি, খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।