মাননীয় সেনাবাহিনী প্রধান, দয়া করে বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট সামরিক লীগের লেফটেন্যান্ট জেনারেল, মেজর জেনারেল এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবীর অফিসার যারা এখনো চাকুরিতে বহাল রয়েছেন তাদেরকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান। যাদের (চাকুরীরত এবং অবসরপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে গুম, খুন এবং দূর্নীতির সুস্পষ্ট অভিযোগ ও প্রমান রয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনুন।
এদেরকে চাকুরীতে বহাল রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো কলংক মুক্ত হবেনা। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কে যথাযথ সম্মান দেখাতেই অতি দ্রুত আপনাকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ছাত্র জনতা এবং সেনাবাহিনীর সকল পদবীর সদস্যদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
মনে রাখবেন, আপনি ইতিমধ্যেই দেশে ও বিদেশে মানুষের ভালোবাসা ও সম্মানে সিক্ত হয়ে অনেক উঁচু আসনে আসীন রয়েছেন। দেশবাসী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ আপনাকে নিয়ে গর্বিত।
সেইসাথে প্রধান উপদেষ্টার সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রশাসনের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টাগনও একই পদ্ধতি অবলম্বন করে ভবিষ্যৎ প্রশাসনকে অবিলম্বে কলংক মুক্ত করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। সততা, নিরপেক্ষতা, দেশ প্রেম আর যোগ্যতার ভিত্তিিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি দিলে এ দেশ আর কখনো পথ হারাবে না।
দুঃখ লাগে যে অতীতে “সোনার বাংলা” একটা দলীয় কথায় পরিনত হয়েছিলো যা প্রকৃত অর্থে “রূপার বাংলা” ও হতে পারেনি। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ৫ আগষ্টের স্বাধীনতার পর এবার আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়বো চলুন তার নাম দেই “হীরার বাংলা।”
এখন থেকে সকল গান, কবিতা আর কথায় আমরা “হীরার বাংলা” বলি। ডক্টর ইউনুস এর সরকার যে সংস্কার আর নীতিমালা করে যাবেন তাতে আমরা সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতায় বিগত সরকারের রাজনীতি থেকে শিক্ষা নেয়া ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে আমাদের কাংখিত ” হীরার বাংলা” গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
লেখকঃ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) তানভীর ইকবাল।