১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাজারে বেড়েছে সবজি-মাছ, ডিম-মুরগির দাম অবৈধ সমুদ্রপথে ইউরোপ প্রবেশ, শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ নলছিটির চার বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ বাবুগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী উদযাপন বরিশালে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির এসএসসি-দাখিল উত্তীর্ণদের বার্তা দিলেন মাওঃ আবদুল জব্বার এসএসসিতে সকল বিষয়ে এ প্লাস : পবিপ্রবি প্রো-ভিসির পুত্র হিসান মুহতাসিম: প্রতিভা, প্রজ্ঞা আর সম্ভাবনার... এবারও এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ-৫ ভোলায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কৃষক পরিবারকে নি*র্যাত*ন ও লু*টপা*টের অভিযোগ হিসান মুহতাসিম প্রকৌশলী হতে চায়

ক*সা*ই থেকে নদী খেকো জাফর

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শংকরদি টেকেরহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা জাফর শেখ। পশু জবাই করে বিক্রি করা তার পেশা। এলাকায় পরিচিত জাফর কসাই নামে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি এই জাফর কসাই। বছর দুই আগে বাজারের দোকানের পিছনে কুমার নদের জমি নিজের মামার জমি দাবি করে নির্মাণ শুরু করেন বহুতল ভবনের কাজ। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে বন্ধ করে দেয়া হয় ভবন নির্মাণের কাজ। কিছুদিন পর আবার নির্মাণ কাজ শুরু করলে আবারও বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এভাবেই একটু একটু করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জাফর কসাই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শংকরদি টেকেরহাট বাজারের দোকানের পিছনে আড়িয়াল খাঁ নদের জমির উপর বহুতল ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ফাউন্ডেশন ও গ্রেডবীমের কাজ শেষ করে প্রথম তলার ছাদ পর্যন্ত পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সিঁড়ির কাজ। প্রায় ৪ শতাংশ জুড়ে ভবনের কাজ শুরু করলেও দুই দিকে প্রসারিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে যাতে আরও জমি দখলে নেয়া যায়।
বাজার কমিটির সদস্য নাজির আহম্মেদ বলেন, যেখানে ভবন নির্মাণ করছে ওই জমি জাফর কসাইদের মায়ের। নদী ভেঙে এ পর্যন্ত এসেছে। তাই মনে হয় নদীর পাড়ে এই ভবন তৈরি করছে। তহসিলদার এসে কাজ বন্ধ করতে বলেছে। কিন্তু সে কাজ বন্ধ না করে অন্যায় করছে।
বাজারের ব্যবসায়ী ও শংকরদি’র বাসিন্দা জহুরুল আলম, কেরামত আলী, ইসমাইল মোল্লা জানান, মামাদের জমিতে ভবন করছে বলে দাবি করে জাফর কসাই। তারা জানে না এই জমি জাফর কসাইদের মামাদের নাকি সরকারি সম্পত্তি। তবে ছোটবেলা দেখেছি এখানে কৃষি জমি ছিল। এ জমিতে বিভিন্ন ফসল হতো। এই জমি বাজার কমিটি দাবি করলে বাজার কমিটিকে জমি দেয়া হয়। তাই বাজার কমিটি টিনের ঘর তুলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে দিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে জমির মালিক জাফর কসাই না বাজার কমিটি না সরকার সেটা জানা নেই আমাদের।
জাফর কসাই বলেন, এই জমি আমার মায়ের সম্পত্তি। নদীর অপরপাড়েও আমাদের মায়ের জমি আছে। আমি আমার জমিতে ভবন নির্মাণ করছি। নাজির এসে দেখে গেছে। সে আমাকে বাধাও দেয় নাই আবার করতেও বলে নাই। আমি আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছি।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুল হক বলেন, স্থানীয় অনেকেই বিভিন্ন সময় কুমার নদের জমি দখল করেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কুমার নদ দখল মুক্ত করতে দখলের স্থানগুলো চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তবে এখন জাফর কসাই নামের কেউ নদের জমি দখল করে বহুল ভবন নির্মাণ করছে বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি দেখবো। যদি কেউ সরকারি কোন জমি বা নদী দখল করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা বাধা দিবো। দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাধা দেয়া ছাড়া আর কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তা আমার জানা নেই।

সর্বশেষ