কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের কাউখালীতে আত্নহত্যা করা এক গৃহবধূর লাশ সন্ধ্যায় দাফন করার পর রাতে সেই কবরের পাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় এক শিক্ষকসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। যদিও পুলিশ রাতেই অজ্ঞাত কারণে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাশুরি গ্রামে।
আটককৃতরা হলো ঝালকাঠি জেলার হেমায়েত উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলরাম পাল এবং কাউখালী বালিকা বিদ্যালয় ব্রিজ সংলগ্ন ঔষধ ফার্মেসী ব্যবসায়ী গৌতম চন্দ্র সরকার।
জানা গেছে, উপজেলার বাশুরী গ্রামের গৃহবধূ শান্তা মনি গত রোববার রাতে ঘরের পেছনে কাঠাল গাছে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের পর লাশ তার পরিবারের কাছে দেন। পরে তার পারিবারের লোকজন জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করে। ওই দিনগত রাতে শান্তা মনির কবরের পাশে ঐ দুই ব্যক্তি সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ রাতেই তাদেরকে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেয়।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
কাউখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বনি আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে তাদের সন্দেহ করার মত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় ব্যক্তিদের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরকে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।