৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মৃত্যুর প্রথম রাত কেমন হবে ! নৌকা প্রতিকের মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন এস এম শাহজাদা পিরোজপুর-৩ আসনে লাঙ্গল পেলেন না ৪ বারের এমপি, হবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বরিশালে বন্ধ করে দেয়া হলো দোকানে পাম্প বসিয়ে তেল বিক্রি অবরোধ সফল ও হরতাল পালন করতে বরিশাল মহানগর বিএনপি মশাল মিছিল বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন প্যানেল চেয়ারম্যান ১ আলহাজ... পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশালের ছয় আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৪৭ প্রার্থী বরিশালে অটোপাসের আশ্বাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিছিলে প্রধান শিক্ষক! বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন প্যানেল

কারামুক্ত হয়ে ফেরার পথে গাড়ি নিয়ে শোডাউন দিলেন বিএনপি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: তফসিল প্রত্যাখ্যান করে গতকাল রোববার থেকে টানা দুই দিনের হরতাল ডেকেছে বিএনপি। চলমান কর্মসূচির মধ্যে ওই দিন বরিশাল নগরের সড়কে গাড়ি নিয়ে শোডাউন করেছেন সদ্য কারামুক্ত বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান।

হরতাল কর্মসূচি চলাকালীন গতকালের ওই ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মন্তব্য করেন নেতা-কর্মীরা।

অভিযোগ উঠেছে, দলটির টানা কর্মসূচিতে দক্ষিণ জেলা বিএনপিসহ নগরঘেঁষা সদর উপজেলার শীর্ষ নেতারা মাঠে নেই।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান। এ সময় সেখানে তার সমর্থক নেতা-কর্মীরা ছিলেন। তারা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। পরে একটি সাদা গাড়িতে চড়ে শোভাযাত্রা নিয়ে নগরের সদর রোড থেকে গন্তব্যে যান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কবির খান নামে বিএনপির এক কর্মী বলেন, ‘নির্বাচনের নমিনেশন নিয়ে হাজির আবুল ভাই।’

নুরুল ইসলাম নামে অপর এক কর্মী মন্তব্য করেন, ‘চলমান হরতালের মধ্যে একজন নেতার এভাবে গাড়িতে করে শোডাউন দেওয়া উচিত হয়নি।’

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান জানান, তিনি ১ নভেম্বর অবরোধ চলাকালে সিঅ্যান্ডবি রোড থেকে গ্রেপ্তার হন। গতকাল সন্ধ্যার আগে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। তার ধারণা ছিল, পুলিশ আবার তাকে গ্রেপ্তার করবে। সে কারণে গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু কারাগারের প্রধান ফটকে অসংখ্য নেতা-কর্মী জড়ো হন। মুক্ত হয়ে নিরাপদে যেতে গাড়িতে উঠেছেন। এ সময় সব নেতা-কর্মীকে হাত তুলে অভিবাদন করেছেন মাত্র। যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরা তো মাঠে নেই, তিনি মাঠে আছেন।

এ ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির ১ নম্বর সদস্য কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘হরতালের সময় গাড়িতে শোডাউন দেওয়া উচিত হয়নি। এটি দুঃখজনক ঘটনা। এখন তো ফুলের মালা নেওয়ারও সময় নেই। আবুল হোসেনের হেঁটেই যাওয়া উচিত ছিল।’

তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘সদর উপজেলা আহ্বায়ক এনায়েত হোসেন বাচ্চু, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলামও মাঠে নামছে না। যদিও এটি বিএনপির ঘাঁটি। তাদের বলা হয়েছে কিন্তু শুনছে না।’

এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, ‘তিনি দেখেছেন আবুল ভাই জেল গেট থেকে বেরিয়ে সাদা একটি গাড়িতে চড়েছেন। হরতালের মধ্যে এটা একধরনের ভুল হতে পারে। জেল গেটে কিছু কর্মী গেছে। তবে সেখানে শোডাউন কিংবা ফুল দিয়ে বরণ করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সদর উপজেলা বিএনপির নেতাদের কার্যক্রম ধীর গতির। তাদের কাজ সন্তোষজনক নয়।’

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ