১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী না বলার আহবান জাতীয় নাগরিক কমিটির পবিপ্রবিতে ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস' এসোসিয়েশন কর্তৃক নবীন বরণ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে আনসার ভিডিপি জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত এটিএম আজহারুল’র মুক্তির দাবীতে মাদারীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল বরিশালে স্মরণকালের বড় বিক্ষোভ মিছিল করলো জামায়াত বরিশালে দুই দিন ধরে নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্র শাহারিয়া রাঙাবালিতে অপারেশন ডেভিল হান্ট  কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আটক ডেভিল হান্ট অপারেশন: বাউফলে কৃষকলীগ নেতা গ্রেপ্তার বাউফলে জামায়াতের আমীরের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার, থানায় সাধারন ডায়েরী বাউফলে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

কাশিমপুর কারাগারে বসে বন্দীর নারীসঙ্গ: ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর বন্দী হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভুইয়া তিনজনকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। প্রত্যাহারকৃত কর্মকর্তারা হলেন- কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমান।কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুমিনুর রহমান মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে তিন কর্মকর্তাকে কারা সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেও দ্রুতই প্রত্যাহার করা হতে পারে।এর আগে, গাজীপুরে কাশিমপুর কারাগারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এবার এক বন্দীকে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।  পরবর্তীতে এ ঘটনার সত্যতা পায় জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, কারাগারে থাকা হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষেই নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করা হয়। তুষার হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা।  গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  

এছাড়া গত ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে আরও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে।

তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারা কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করেন। তাকে সেখানে অভ্যর্থনা জানান খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দী তুষার আহমদকে সেখানে আনা হয়।

সর্বশেষ