হোসাইন আমির কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
কুয়াকাটায় টানা চার দিনের ভারি বর্ষণে ডুবে আছে নিম্ন এলাকা। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পরেছে সাধারণ মানুষ। আটন জালের ফাঁদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছে শ্রমজীবী মানুষ। খালে জালের কারণে পানি নামতে পারছেনা যে কারণে কৃষি জমিতে অতিরিক্তি পানি আটকা পরে আছে। প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছে কৃষকরা।
তাছাড়া পৌর শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহর কিংবা গ্রাম সব একই চিত্র। পানিতে রান্নার চুলা পর্যন্ত ডুবে গেছে হাজার হাজার পরিবারের। আমন ক্ষেত পানির নিচে ডুবে আছে। মানুষ কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।
লতাচাপলী ইউনিয়নের দক্ষিণ মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের সবজি চাষী আঃ রহিম জানান, জমিতে লাউ,জালি কুমরো,বেগুন , ফসল দিয়েছি ঠিক মত পরিচর্চা করার কারনে গাছ গুলো সতেজ ছিলো হঠাং বৃষ্টি হবার কারণে তলিয়ে আছে সব গাছ এবারে ব্যাপক ক্ষতির আংশক্কা।
৬নং ওয়ার্ড নবীনপুর বাসিন্দা মোঃ হোসেন জানান ।যে দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে তাতে তেমন ক্ষতি হতো না যদি খালে আটন জাল পোতা না থাকতো প্রচুর পরিমাণে জালে পানি চলাচল করতে পারে না তাই পানি ভেজে তলিয়ে আছে ক্ষেত।
মিশ্রিপাড়া গ্রামের কৃষক সুশীল বিশ্বাস জানান, আমাদের জীবন জিবিকা চলে এই কৃষির উপরে আমরা শারা বছর চেষ্টা করি ফসল ফলাতে এভারে ও অনেক ফসল রোপন করেছি কিন্ত এই বৃষ্টির কারনে সব গাছ তলিয়ে আছে পচন ধরার অবস্থা এত পরিমান পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্তা না থাকায় এভারে প্রচুর পরিমান ক্ষতির আশঙ্কা।আমন ধানের বীচ করে ছিলাম সব বীচ পানির নিচে তলিয়ে আছে। এখন বীচ করার সময় ও নেই।
কুয়াকাটা তিন নং ওয়ার্ড বাসিন্দা ইদ্রিস গাজী , আমি মাছের ঘের লীচ নিয়ে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ চাষ করেছি ২ লক্ষ টাকার মত ব্যায় হয়েছে মাএ মাস খানেক পড়েই মাছ বিক্রির উপযোগী হত কিন্ত হঠাং বৃষ্টি কারনে ঘেরের পাড় তলিয়ে সব মাছ চলে যায় এতবড় ক্ষতির মুখ থেকে ফিরবো সেটাই চিন্তা করছি।