৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে স্বামী স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম।। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা বরিশাল সিটিতে নৌকা বিজয়ের লক্ষে ১৪ দলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত এক যুগ পর মঠবাড়িয়া পৌর নির্বাচন : কে হবেন নৌকার মাঝি! ১০টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করেছে ভোলা গোয়েন্দা পুলিশ পবিপ্রবিতে এনবিএ-র নতুন কমিটি গঠন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন : নৌকার সমর্থেন বানারীপাড়া আ.লীগ নেতৃবৃন্দের গণসংযোগ আমি সর্বাত্তকভাবে চেষ্টা করবো নগরবাসীর প্রয়োজনে কাজ করার : খোকন সেরনিয়াবাত ভোলার গ্যাস বরিশালে আনাসহ ১৭ দফা ইশতেহার হাতপাখার প্রার্থীর পটুয়াখালীতে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করল বিএনপি

কুয়াকাটায় সেতু আছে নেই সংযোগ সড়ক

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি—
কুয়াকাটা খালে গত এক বছর আগে নির্মিত হয়েছে সেতু। শুধুমাত্র সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী হয়নি। সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কটি সম্পূর্ণ  খুড়ে  ফেলায় কুয়াকাটা পৌরসভা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে তিনটি ওয়ার্ড। এর ফলে ১, ২ও ৪ নং ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এতে বয়স্ক নারী ও শিশুরা প্রায় দুই কিঃমিঃ ঘুরে চলাচলে চরম ভোগান্তির কবলে পরে। কেবলমাত্র ঠিকাদারের অবহেলা এবং এলজিইডির উদাসীনতায় সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও কোন কাজে আসছে না।
কলাপাড়া এলজিইডি অফিসসুত্রে জানাগেছে, ২০১৮ সালে এলজিইডির তত্ত¡াবধানে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এক বছরের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও গত প্রায় তিন বছরেও চলাচলের উপযোগী করা যায়নি। মেসার্স আবুল কালাম আজাদ নামের প্রভাবশালী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের  নামে কাজটি বরাদ্ধ রয়েছে। বাস্তবে কাজটি করছে দীপ্ত কনস্ট্রাকশন এর সত্ত¡াধীকারী মামুন নামক এক ঠিকাদার। প্রভাবশালী ওই দুই ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারীতায় নকশা অনুযায়ী কাজ হয়নি। সেতুটির উচ্চতা কম, গার্ডার কম এবং দৈর্ঘ্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। কাজের অনিয়ম ও দীর্ঘসুত্রিতার বিষয়ে এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহর আলী তাঁর অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করে  বলেন, প্রভাবশালী ঠিকাদার হওয়ায় তাদের ইচ্ছামত কাজ করছে। ওই গার্ডার ব্রীজ সংলগ্ন বাসিন্দা কুয়াকাটা পৌর আ’লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ইউসুফ আলী আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে সেতু নির্মাণ হলেও দুই দিকের সংযোগ সড়ক খুড়ে ফেলে রাখায় প্রায় দুই কিঃমিঃ ঘুরে চলাচল করতে হয়। একই এলাকার ভূক্তভোগী হাসনুল ইকবাল জানিয়েছেন, কুয়াকাটা খালের ওপর পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর কাজ নকশা অনুযায়ী করা হয়নি। তিন বছরেও সেতুর কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় দূর্ভোগে রয়েছেন তারা।
ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বালু না পাওয়ায় কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি। তবে সেতুটির কাজ নকশা অনুযায়ী করা হয়েছে এমন দাবী করেছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ