১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পে কয়েক কোটি টাকা লোকসানের মুখে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হোসাইন আমির,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ- করোনায়  ২য় ঢেউ‘র আঘাত হানার পর প্রায় ১ মাসে পর্যটন নগরী সাগর কন্যা কুয়াকাটায় এ ভরা মৌশুমে কয়েক কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পর্যটন মুখী ব্যবসায়ীদের। হতাশ হয়ে পড়ছে কয়েক-শ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। একদিকে রমজান মাস অন্য দিকে করোনায় আঘাতে  কর্মহীন হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। এ ভাবে চলতে থাকলে বেশীভাগ ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা পথে বসবে। এ ভাবে চলতে থাকলে অর্ধহারে অনাহরে মারা যেতে পারে এমন আশংকা করছে সবাই। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটন খ্যাতে কোন প্রণোদনা প্যাকেজ না থাকায় দুঃখপ্রকাশ করছেন ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
শুক্রবার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রাণঘাতী করোনা ২ ঢেউ‘র প্রভাবে সারাদেশের ন্যায় কুয়াকাটার ১৩ টি টুরিস্ট স্পট এখন খা খা করছে। লকডাউনে দুই সপ্তাহে পুরোদেশ যখন স্থাবির তখন কুয়াকাটাও তার ব্যতিক্রমন নয়। ফার্মিসী , কাচাবাজার ও মুদি দোকান বাদে সব ধরণের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুরুতেই ১০ দিন আগে হোটেল মোটেল এবং ওয়াটার বাসসহ ট্যুরিস্ট বোট গুলো বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক। এর পড়ে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বার্মিজ মার্কেট, সীবিচের ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মহিলা মার্কেট, শুটকির দোকান,খাবার রেস্তোরা,মিউজিয়াম,ইলিশপার্কসহ ছোট বড় মাঝারি সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ট্যুরিজম নেতাদের পরিসংখ্যানে বলছে করোনার প্রভাবে আমাদের কুয়াকাটায় প্রায় ১ মাসে কয়েক কোটি টাকা লোকসানের মুখে পর্যটন খ্যাত। এ ভাবে আরো চলতে থাকলে বেশীভাগ মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে আছে। এ দিকে সরকারের পক্ষে প্রদনার প্যাকেজে  পর্যটন খাতে কোন নাম না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করছেন অনেকেই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সৈকতে বার্মিজ আচারে দোকান জাকারিয়া জাহিদ বলেন আমার দোকানে কর্মচারি বেতন দিতে পারি নাই  ভরা মৌশুমে বন্ধ হলো দোকানা। কুয়াকাটা সী ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস পরিচালক জনি আলমগীর বলেন মুল সিজনেই এই বিপদে পড়তে হলো আমাদের প্রায় এক মাসে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে আর কতদিন চলে এভাবে আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারে না । তারপরও সরকারের ঘোষিত প্রদনা প্যাকেজে যেন আমরা থাকতে পারি সে জন্য জোর দাবি জানাই। ভাসমান কাকড়া ফ্রাই দোকান ,জামাল কান্নার চোখে জানান এমনিতেই ৬ মাস ব্যবসা করি সাগরপারে তাও এখন এই অবস্থা বন্ধ দোকানপাট কি করবো লোন নেয়া আছে খাইব না দেনা দিব পরি না মানুষের কাছে হাত পাত্তে । কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোশিয়েশন (কুটুম)‘র সিনিয়র সহসভাপতি হোসাইন আমির বলেন, বিশ্ব ব্যাপী প্রানঘাতীর আঘাতের ছোবল পর্যটন শিল্পে বেশী প্রভাব পরছে। কুয়াকাটা মাঝারী ধরণের ব্যবসায়ীদের ক্ষতির আশংকা আমি বেশী মনে করছি। কারণ যত অভাব থাকুক লজ্জার কারণে  এরা বাহিরে কারো কাছে হাত পাত্তে পারবেনা। তাদের পাশে সরকারের আলাদা ভাবে বিশেষ নজর দেওয়া উচিৎ।  কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওর্নাস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম মোতালেব শরিফ জানান, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতি হতে যাচ্ছে পর্যটন খ্যাত সে অনুযায়ী আমাদের কুয়াকাটা মার্চের ২২ থেকে  পর্যটক হোটেলে রাখা বন্ধ হয়েছে পর্যটন শিল্পো এ সিজন পুরোটাই শেষ। সরকার ঘোষিত প্যাকেজে আওতায় থাকা কুয়াকাটা ব্যাংক গুলো খুলে দিয়ে ব্যবসায়ীদের দ্রæত স্বল্পঋনের ব্যাবস্থা করলে কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে

সর্বশেষ