বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন পটুয়াখালী বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন আব্দুল মোতালেব। তিনি লেখেন- “রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হউক।”
এই পোস্টটি ভাইরাল হয়। তাতে বিএনপির অসংখ্য পদধারী নেতা ও সমর্থকেরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রশংসা করেছেন। অপরদিকে, নিন্দা জানিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
রবিবার (০১ অক্টোবর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে মোতালেব হাওলাদারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ভিপি আব্দুল মান্নান জানান, তার দাবির প্রেক্ষিতে তাকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য তিনি করতে পারেন না। তাই তাকে শোকজ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ, উপজেলাব যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল কবির নিশাতসহ অনেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যকে সংগঠন বিরোধী বলে মনে করেন। তারা আরও বলেন, সাধারণ সম্পাদক একজন ত্যাগী নেতা, তা ঠিক আছে। তবে সাম্প্রতিককালে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বিচরণ করায় তিনি বিএনপি নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, শেখ হাসিনা মানবতার মা, তিনি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা যে মানবতার মা, তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে সেটা আরও একবার প্রমাণিত হবে। আমি রাজনৈতিক কারণে লিখেছি, এখানে দোষের কিছু দেখছিনা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, তিনি একজন দলের সাধারণ সম্পাদক। এ ধরনের বক্তব্য তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন না। তাই তাকে সংগঠনের নিয়মানুযায়ী প্রাথমিক ভাবে শোকজ করা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।