তারিখঃ ৭ জুলাই ২০২১
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় গৃহ নির্মান নীতিমালার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উপজেলা প্রশাসন। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ, সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে জমি সহ ঘর প্রদানে ২০২০ নীতিমালা প্রনয়ন করেছেন। সারা বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে মুজিববর্ষে, বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না, এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০ প্রনয়ন করা হয়েছে। নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬ শত ২২ পরিবারের তালিকা প্রনয়ন করা হয়। বাংলাদেশে সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের অধিকারে নিশ্চিত স্থায়ী বাসস্থানের যে অটল দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিয়েছেন তা নিতান্তই বিশ্ব দরবারে প্রশংসনীয়। উপকূলীয় জেলা এবং উপজেলাগুলো বার বার বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। দক্ষিন বাংলার পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার মানুষ প্রায় প্রতিবছর নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করেন। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে জমি সহ অসংখ্য ঘর যা মানবিক বিপর্যয়। এই মানবিক বিপর্যয় কে বিলুপ্ত করতে প্রত্যেক জেলা, উপজেলায় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গৃহ ও ভূমিহীনদের চিহ্নিত করে বিনামূল্যে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাকা ঘর সহ জমি হস্তান্তরিত করা হয়েছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের এ যাবৎ ছয় শতাধিক ঘর দিয়েছেন যার প্রায় এক তৃতীয়াংশের বেশি নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার অত্র এলাকার মানুষের অধিকার নিশ্চিয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লক্ষে নীতিগত নিরলস ভূমিকায় কাজ করছেন। পাশাপাশি উপজেলা প্রকল্প বাস্তয়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন, ঘর নির্মানে প্রতিটি ইউনিয়নে নিজেই তদারকি করছেন। এ পর্যন্ত এতগুলো ঘরের নির্মান সহ চলমান কাজের কোন প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি বা অনিয়মের খোজঁখবর রেখে নিরালস ভাবে গৃহ নির্মানে তদারকি করছেন। স্থানীয় মানুষ তাদের সম্মুখ সাক্ষাত, কার্যক্রম এবং আন্তরিকতায় পঞ্চমুখ হয়ে স্বস্তির নিশ্বাস নিতেও দেখা যায়। উপজেলার হত দরিদ্র, ভূমিহীন জয়দেব মেকার, বাসনা রানী, সূচিত্রা রানী, আক্তারুজ্জামান, রিক্সা চালক মোসলেম, নুরজাহান বেগম বলেন সততা এবং ন্যায় নিষ্ঠার সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসেন স্যার আন্তরিকতায় মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সেবামূলক কাজ করছেন। এই ঘর আমরা সহজেই পেয়েছি। কোন কষ্ট করতে হয়নি। টাকা ছাড়াই আমরা পেয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের পক্ষে কোনদিন পাকা ঘর তোলা ও জায়গা করা সম্ভব ছিল না। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. সাহিন সাহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গৃহ নির্মানের ভিশন ও মিশনকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাটাই আমাদের লক্ষ্য।