২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গলাচিপায় মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী কয়েক পরিবার

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী মাছ চাষী কয়েক পরিবার। পৌর শহরে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাস বাড়ির জলাশয়ে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কালিপদ দাস গং ও তাদের পরিবার। ছোট পরিসরে শুরু করেলেও বর্তমানে তারা উত্তর দক্ষিনে ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও পূর্ব পশ্চিমে ৬০ ফুট প্রস্থের জমিতে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে পরিবারে স্বচ্ছলতা এনেছেন। মাছ উৎপাদনে উৎসাহ দিতে অনেক মানুষকে সহায়তা দিয়ে আসছে গলাচিপা উপজেলা মৎস্য অফিস। জানা গেছে, ২০১৮ সালে জলাশয়টি মাছ চাষের জন্য উপযোগী করে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, সিলভারকার্প মাছসহ বিভিন্ন মাছের চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরে সাফল্যে না পেলেও পরের বছর থেকে সফলতা আসতে শুরু করে। পাশাপাশি মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ ও সহায়তায় তাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাছ চাষের বিষয়ে কালিপদ দাসের ছোট ছেলে পরেশ দাস বলেন, ‘মাছ চাষ করে আমরা কয়েক ভাই স্বাবলম্বী ও সফল হয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘সকলে যদি আমরা উদ্যোগী হয়ে বাড়ির আশ পাশের খানা বা পুকুর, জলাশয়ে মাছ চাষ করি তাহলে আর্থিকভাবে আমরা লাভবান হব। বেকারত্ব দূর হবে। পরিবারের স্বচ্ছলতাও ফিরে আসবে।’ এ বিষয়ে যাদব দাস বলেন, এই জায়গায় আমার দাদা অশ্বিনী কুমার দাস ও আমার বাবা কালিপদ দাসের সমাধী রয়েছে। যদিও জলাশয়টি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ছিল কিন্তু সরকার বাহাদুর জমিটি খাস খতিয়ানে দেয়ায় ডিসিআরের জন্য আবেদন করেছি। এই জমির ভিতর আমাদের ঘর-বাড়ি, বিভিন্ন ফলজ গাছ এবং মাছের চাষ আছে। এ বিষয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেব আলী বলেন, ‘কালিপদ দাসের ৫ ছেলে কেশব দাস, রনজিত দাস, যাদব দাস, পরেশ দাস ও নরেশ দাস দীর্ঘদিন ধরে এই জলাশয়ে মাছ চাষ করছে। এতে এলাকার মানুষের আমিষের অভাব পূরনসহ বাজারেও মাছ বিক্রি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তারা মাছ চাষের ওপর যে কাজ করছেন তা এলাকাবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত।’ এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জহিরুন্নবী বলেন, ‘এরা অসহায় থাকায় প্রতি বছর এদেরকে সরকারীভাবে বিভিন্ন মাছের পোনা দেয়া হয়। এ বছরও তাদের মাছের পোনা বরাদ্দ আছে। পাশাপাশি তাদেরকে সব ধরণের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, সরকার প্রতি খন্ড জমিকে চাষের জন্য উৎসাহিত করছেন যাতে দেশ আত্মনির্ভরশীল হয়। উপজেলায় বেকাররা যদি উদ্যোক্তা হয়ে জমিতে যেকোন ধরণের গাছ অথবা মাছের চাষ করে তবে উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ