পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর গলাচিপায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মোছা. কলি বেগম (৪২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে আঘাত করে দাঁত ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এসময় লোহার রড, ছুঁরি ও ইট দিয়ে আঘাত করে তার হাত ভাঙার পাশাপাশি গাল-জিহবাও কেটে দেয় তারা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের চিকনিকান্দী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত শিক্ষিকাকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিক্ষিকাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আহত কলি বেগম মাঝগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং চিকনিকান্দী গ্রামের মো. জাকির হোসেনের স্ত্রী ও হায়দার আলী জোমাদ্দারের মেয়ে। এ ঘটনায় শিক্ষিকার স্বামী মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার গলাচিপা থানায় মামলা করেন।
মামলায় একই গ্রামের সুমন রাজা (৩০), রাজা শফিকুল ইসলাম (৬০), ফাতেমা বেগম (৪৫), টুম্পা (২৫) ও পিংকিকে (২৫) আসামি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পুলিশ আসামি রাজা শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে মো. জাকির হোসেন তার একটি গাভী গরু ও দুটি বাছুর গরু নিয়ে মাঠ থেকে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেন। এসময় তিনি চিকনিকান্দী বাজারের কাছে এসে পৌঁছলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সুমন রাজা, রাজা শফিকুল ইসলাম, ফাতেমা বেগম, টুম্পা ও পিংকি এক জোট হয়ে মারধর শুরু করে। জাকির হোসেনের চিৎকারে শিক্ষিকা কলি বেগম স্বামীকে বাঁচাতে এলে হামলাকারীরা তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারীদের লোহার রডের আঘাত ঠেকাতে কলি বেগমের হাতের কব্জিতে জখম হয়। এছাড়া ছুঁরির আঘাতে তার ডান গাল ছিদ্র হয়ে মুখের ভেতর প্রবেশ করে জিহবা কেটে যায় ও ইটের আঘাতে দাঁত ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, শিক্ষিকা কলি বেগমের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি রাজা শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।