গলাচিপা (উপজেলা) প্রতিনিধি :
গলাচিপা উপজেলার সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক সবুজ খানের বিরুদ্ধে একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক (গণিত) শিপন চন্দ্র রায়কে মারধর করে লাঞ্ছিত করাসহ জীবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কতৃক ৩ সদস্যে বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকসহ স্কুলের একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক সুবজ খান সহকারী শিক্ষক শিপন চন্দ্রকে মারধর করতে তেরে আসে। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে শিপন চন্দ্র বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য রওনা করলে পথিমধ্যে সবুজ পথ রোধ করে। একপর্যায়ে বহিরাগত কিছু ছেলে নিয়ে অতর্কিতভাবে শিপন চন্দ্রকে মারধর করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে অনিয়ম চলছে। বুধবার স্কুলে এ বিষয় নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের সাথে ও আমার সাথে শরীরচর্চা শিক্ষক সবুজ খানের কথা কাটাকাটি হয়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে হুমকি দেয়। এসময় আমি প্রতিবাদ করলে মারধর করতে তেরে আসে। পরে বৃহস্পতিবার রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে আমাকে মারধর করে সবুজ।
সহকারী প্রধান শিক্ষক জুলেখা বেগম বলেন, ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। গোপনে কমিটি গঠন করা হয়েছে যা আমরা শিক্ষকরা জানি না। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা করার সময় শরীরচর্চা শিক্ষক সবুজ খান অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরে সহকারী শিক্ষক শিপন চন্দ্রকে মারধর করে লাঞ্ছিত করেছে।
অভিযোগের বিষয় শরীরচর্চা শিক্ষক সবুজ খানকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রাজা মিয়া মুঠোফোনে বলেন, এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দ্বায়িত্ব থাকায় ঘটনার বিষয় কিছু জানি না। পরে বিভিন্ন মারফতে জানতে পেরে বিদ্যালয়ের সভাপতিকে অবহিত করি। তিনি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, এ ধরনের ঘটনা অতন্ত্য দুঃখজনক। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শুনানি করে অভিযুক্তের বিষয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।