জাহিদ হাসান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
মাদারীপুর জেলার শিবচরের পাচ্চরে এক গৃহবধূর সহযোগিতায় আরেক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে শিবচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। রাতেই পুলিশ ধর্ষণে জড়িত ও সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে নির্যাতিতা গৃহবধুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত গৃহবধূ আখি আক্তার ও সুবল মন্ডল ওরফে সুমন মোল্লা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে পাচ্চরের বাখরের কান্দি পূর্নবাসন কেন্দ্রের শাহিন হাওলাদারের একতলা বাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই বাসায় তারা অনৈতিক কাজ করতে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে অসহায় নারীদের ফুসলিয়ে বাসায় নিয়ে অনৈতিক কাজ করাতেন। শনিবার বিকেলে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ওই বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত আখি আক্তারসহ পাঁচ ব্যক্তি। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে আটকে রেখে বিকেল পর্যন্ত দুই দফায় তাকে ধর্ষণ করে একাধিক ব্যক্তি। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুখ বেঁধে ইজিবাইকে করে পূনরায় ধর্ষণের জন্য অন্যত্র নেয়ার সময় কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ইজিবাইকটির পথরোধ করে। এসময় ইজিবাইকে থাকা আসামীরা দ্রুত পালিয়ে গেলে গৃহবধুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। রাতে শিবচর থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী এক নারীসহ পাঁঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।
শনিবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু বাদী হয়ে শিবচর থানায় আখি আক্তার(২৫), সুবল মন্ডল ওরফে সুমন মোল্লা(৩২), সোহেল(৩৫), এসকান(৩৭) ও অটোরিক্সা চালক সোহাগ হাওলাদার(৩৫) এর নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ‘মামলা দায়ের এর পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী আখি আক্তার ও সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আখি বাসা ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা করাতো।
