গৌরনদী প্রতিনিধি :: বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের একই ঘরে বাবা ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়। ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার বিকেল তিনটায় আক্রান্ত বাবা (৬৫) মারা যান। লাশ ঘরে পরে থাকলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দাফন কাফনে এগিয়ে আসেনি কোন স্বজন। বিষয়টি গৌরনদী মডেল থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির একাধিক স্বজন জানান, গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের গৃহকর্তা (৬৫) ও তার পুত্র কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্মকর্তার (৩৫) মধ্যে গত ১৫ জুন করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পিতা-পুত্র উভয়ে ঘরের মধ্যে নিজ উদ্যোগে অনলাইনে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৯ জুন পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবে নমুনা দেন। ২১ জুন পিতা-পুত্রের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। বাবা ছেলে নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শনিবার ৩টায় বাবা মারা যান।
মৃতর স্বজন মো. রেজাউল করিম বলেন, মৃত লাশ ঘরের মধ্যে থাকলেও এখনও লাশ দাফনের জন্য কোন স্বজন এগিয়ে আসেনি। বিষয়টি গৌরনদী মডেল থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চি করে বলেন, লাশ দাফনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’