নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কাউন্সিলর প্রার্থী লিটন বেপারির বাড়িতে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন। বুধবার রাতের এই হামলা-ভাঙচুরের সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ককটেল হামলায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ ৪ জনকে আটক করেছে। থানায় ১২ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন বেপারীর সর্মথক ফারুক হাওলাদারের বাড়িতে, অপর প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের লোকজন ভোট কেনার জন্য কাপড় আর নগদ টাকা নিয়ে গেলে তারা অপরগতা প্রকাশ করলে কথার কাটাকাটির এক পর্যায় তাদের ওপর হামলা এবং একজন নারীকর্মীকে লাঞ্চিত করা হয়। এ সময় লিটন বেপারির সমর্থক মিটু মিয়াকে বেদম মারধর করে অপর প্রার্থীর ক্যাডাররা। এর কিছু সময় পর দক্ষিণ পালরদী গ্রামে লিটন বেপারির বাড়িতে হামলা করে একটি মোটরসাইকেলসহ ব্যাপক ভাঙচুর চালায় প্রতিপক্ষের ক্যাডাররা। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা অনেকগুলো ককটেল বিস্ফোরণ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় দলিল লেখক কাওসার মোল্লার বাড়িতে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ককটেল হামলায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং দলিল লেখক কাওছার মোল্লার বাড়ি থেকে চারজনকে আটক করে।
রাতেই কাউন্সিলর প্রার্থী লিটনের স্ত্রী খুকী মনি বাদী হয়ে অপর প্রার্থীর ভাইসহ ৬ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। লিটন বেপারির সমর্থক সোনিয়া ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছান্টু ভুইয়ার তিন ভাইসহ ৬ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপরাধকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’