১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে লন্ডভন্ড হয়েছে কুয়াকাটা সৈকত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হোসাইন আমির, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
ঘূর্র্ণিঝড় ইয়াস ও চলমান পূর্র্ণিমার জো’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের ঝাপটায় শ্রীহীন হয়ে পরেছে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। চেনা সৈকত অচেনা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য পর্যটকদের জন্য সেজে থাকা পুরো সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে গেলেও ক্ষতচিহৃ রয়ে গেছে পুরো সৈকত তথা উপকূল জুড়ে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ঢেউয়ের তান্ডবে ক্ষতবিক্ষত সৈকত রক্ষার বালু ভর্তি জিও টিউব। কয়েকটি জিও টিউব তুফান তোড়ে ফেটে বালু বের হয়ে গেছে। জিও টিউবের পাশের বালু সরে গিয়ে সমতল সৈকতে পুকুর তৈরী হয়েছে। জিও টিউবের পাশে চাপা দেয়া বালু ভর্র্তি জিও ব্যাগ এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। সৈকতের পাশের পাবলিক টয়লেটের অর্ধিকাংশ ভেঙ্গে গেছে। সৈকতের কয়েক’শ ছোট দোকান ভেঙ্গে চুরমার হয়ে ¯্রােতে ভেসে গেছে সমুদ্রে। সৈকত লাগোয়া আবাসিক হোটেল কিংস ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। আবাসিক হোটেলটির বড় বড় আকারের কংক্রিট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সরদার মার্র্কেটের অর্ধেক তুফানে নিয়ে গেছে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্বদিকে কাউয়ারচর পর্যন্ত সৈকতের সংরক্ষিত বনের শত শত গাছপালা উপড়ে যেখানে সেখানে পরে আছে। সবচেয়ে বেশী আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে পর্যটকদের বিনোদন কেন্দ্র কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। সৈকত তটে থাকা ঝাউবন, নারিকেল কুঞ্জ, তালবাগান, শালবনসহ শুটঁকি পল্লী তছনছ হয়ে গেছে।
পর্যটন ব্যবসায়ী আলমাস বলেন, ‘সৈকতের শতাধিক দোকানপাট ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে’।

কুয়াকাটার স্থানীয় বিনিয়োগকারী রহিম খান বলেন, ‘প্রতি জোয়ারের পর ভাটায় সৈকতে আসলে অচেনা লাগে। গত কয়েক দিনের ঢেউয়ের তান্ডবে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.মোতালেব শরীফ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কেটে গেছে, সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে। এখন সবাইকে উদ্যোগ নিয়ে সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

সর্বশেষ