৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

চরফ্যাশনে বিধবাকে যৌন হয়রানি, থানায় অভিযোগ করায় বখাটের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বখাটের বিরুদ্ধে থানায় যৌন হয়রানীর অভিযোগ দেয়ায় সদ্য বিধাবা নারীকে প্রাণনাশের ভয়ভিতি ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে বখাটে ও তার পরিবারের লোকজনসহ স্থানিয় একটি নারী উত্তক্তকারী চক্র। এমন অভিযোগ করেন চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ভূক্তভোগী  ওই নারী। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত নয় মাস পূর্বে করোনাকালীন সময়ে তার অসুস্থ্য স্বামী মারা যায়। স্বামী না থাকার সুযোগে একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোজাম্মেল মিঝির ছেলে লম্পট মোসলেহ উদ্দিন মুসা তাকে দীর্ঘদিন ধরে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে এবং সরাসরি বাড়িতে গিয়েও বিভিন্নভাবে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। 

এছাড়াও প্রায় মাসখানেক পূর্বে বখাটে মোসলেহ উদ্দিন মুসা আমাদের বাড়িতে এসে রান্না ঘরে গিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার মুখে হাত দিয়ে গাল টেনে দেয়। আমি তাৎখনিক ডাক চিৎকার দিলে লম্পট মুসা কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই নারী কান্নাভরা কন্ঠে আরও বলেন, এঘটনায় আমি স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও সমাধা না পেয়ে শশিভূষণ থানায় অভিযোগ দেই এবং স্থানিয় সংবাদ মিডিয়াকে বিষয়টি জানাই। 

এ অভিযোগের আলোকে একাধিক জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রচারের পর থেকে বখাটে মুসা ও তার বড় ভাই নুরনবী,প্রতিবেশী খলিলসহ একাধিক ব্যক্তির একটি চক্র আমাকে ও আমার ও পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকিসহ এলাকা ছাড়া করার ভয়ভিতি দিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। 

বিধাবা নারীকে উত্তক্তের বিষয়ে অভিযুক্ত মুসা সংবাদকর্মীদের জানান, ওই নারী আমার সম্পর্কে ভাবী হয়। সেদিন আমি তার বাড়িতে গিয়ে কি রান্না হচ্ছে জানতে চাই এবং দুষ্টমি করে ভাবির গাল টেনে দেই। এর বাহিরে তার বাকি অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। 

এবিষয়ে শশিভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় ওই নারী অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও শশিভূষণ থানা এলাকায় কোনো নারী উত্তক্তকারী ও বখাটে থাকলে তাদেরকেও অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনের আওতায় আনা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ