৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরফ্যাশন হাসপাতালে তীব্র ওষুধ সংকট — ডায়েরিয়াও করোনায় হ- য- ব র -ল

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এম লোকমান হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক : :চরফ্যাশন উপজেলায় ডায়রিয়া ও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা খুব দ্রুতই বেড়ে যাচ্ছে বলে হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ি, গত ১সপ্তাহে শতাধিক রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসলে নমুনা পরিক্ষায় ২৫ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এছাড়াও ডায়রিয়াসহ করোনার লক্ষন নিয়ে ৩০জন রোগী ভর্তি হয় এ হাসপাতালে। হাসপাতালের তথ্যে ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও বেশিরভাগ রোগী রয়েছে হোম আইসোলেশনে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও আরও দুইজন করোনা আক্রান্ত রোগীকে ভোলা ও বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা আইসোলেশনে রয়েছেন বলেও সূত্রে জানা গেছে। তবে করোনা ও ডায়রিয়ায় যবুথবু পরিস্থিতিতে রবিবার (১৮এপ্রিল) ৭০জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হলেও ১১ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৭দিনে ২২৯ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয় এ হাসপাতালে। ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীই হচ্ছে নারী পাশাপাশি আবাল বৃদ্ধ ও শিশুও রয়েছে এ তালিকায়।
রবিবার সকালে ১৫০জন রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান আবাসীক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাহাবুব কবির। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি মৌসুমি অথবা ভাইরাল ডায়রিয়া হবে। ডায়রিয়ার রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসক ও সেবিকারা হিমশিম খাচ্ছে। এ চিকিৎসক আরও জানান, ডায়রিয়া রোগীর প্রচুর পরিমানে চাপ থাকায় ১মাসের স্যালাইনসহ ডায়রিয়ার অন্যান্য ওষুধ গত ৩দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো দাবি করেন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে প্রায় ১হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তবে বেশিরভাগ রোগী হাসপাতালে শয্যা সংকট ও অব্যবস্থাপনার জন্য বেসরকারী হাসপাতাল ও ইউনিয়ন ভিত্তিক হেল্থ ক্লিনিকসহ বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। হাসপাতালের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবদুল হাই বলেন, রবিবার ৮জনের নমুনা পরিক্ষা করলে ৩জনের করোনাই পজেটিভ এসেছে। তবে করোনার দ্বিতিয় ধাপে সর্বমোট ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরও জানান, গত বছরের মার্চ থেকে এপর্যন্ত চরফ্যাশনে ৮৭ জন করেনায় আক্রান্ত হয়। এছাড়াও হাসপাতালে কোভিড ১৯ রেপিট এন্টিজেন কিট দ্বারা করোনার নমুনা পরিক্ষা করা হচ্ছে। যদি কোন রিপোর্ট সন্দেহাতিতভাবে নেগেটিভ আসে তাহলে সেই নমুনা ভোলার পিসিআর ল্যাবে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানো হচ্ছে। তবে পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরিক্ষার জ্য পরিবহন খরচের অর্থ বরাদ্ধ বন্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ