এম.এ.আর নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার:
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ কর্মী সোয়েব রিগান এবং তার মামা জেলা কৃষকলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মহসিন রেজাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অপরাধে দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি জিম পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। এ সময় জিমের অপর এক সহযোগী ও পুলিশের হাতে আটক হয়৷ বৃহস্পতিবার (৫ই নভেম্বর) ভোরে তাদের আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। আটককৃত আসামিরা হলো চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার নজিরের ছেলে মামলার প্রধান আসামি জিম (২৫) এবং একই এলাকার মিন্টু রহমানের ছেলে ইনসান (২৫)। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আসামি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
এর আগে গত ১লা নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌরশহরের বাসিন্দা আলী আজমের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী সোয়েব রিগান ও তার মামা মহসিন রেজাকে সদর হাসপাতাল এলাকায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে একদল দুর্বৃত্ত। সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও রেষারেষির কারণে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন ২রা নভেম্বর রিগানের মামা মহসিন রেজা, সশস্ত্র হামলার নেতৃত্বে থাকা জিমসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ তার নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় প্রেরণ করলে তা নিয়মিত মামলা হিসবে রুজু করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রইসউদ্দিন ফরাজী, এসআই আশিকুল ইসলাম এবং এসআই রফিকুল ইসলামসহ একদল চৌকস পুলিশ সদস্য দামুড়হুদা থানাধীন মোক্তারপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামি জিম ও তার সহযোগী ইনসানকে দুটি দাঁড়ালো চাপাতিসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মামলার অন্যান্য আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আসন্ন পৌর নির্বাচনের মাঠকে সুসংহত এবং নির্বিঘ্ন করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ নিয়মিত পুলিশি অভিযান পরিচালনা করছে। কিছু কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ক্যাডার যাদের কোনো দলীয় পরিচয় নাই তারাই নামধারী ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে ক্রমাগত চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে কোপাকুপির ঘটনা ঘটিয়ে চুয়াডাঙ্গার শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে নস্যাৎ করার পরিকল্পনায় মেতে উঠেছে। বাংলাদেশ পুলিশ তথা চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে সদা প্রস্তুত। কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী এসব সশস্ত্র হামলাকারী বা ক্যাডারদের নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে বা পুলিশি তদন্তে সেসব নেতৃবৃন্দের নাম আসলে তার দলীয় পরিচয় যাই থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস এবং সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।