১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুলঃ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেন বিজয় কৃষ্ঞ

বিশেষ প্রতিবেদক:
বরিশাল নগরীর জগদীশ সারস্বত বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেলেন সিনিয়র শিক্ষক বিজয় কৃষ্ঞ ঘোষ। শনিবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়্ । এর আগে অসুস্থতা জনিত কারণ দেখিয়ে চিকিৎসা ছুটির আবেদন করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্কুল কমিটি তাকে দুই মাসের ছুটি প্রদান করে।
উল্লেখ, প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলমের বিরূদ্ধে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলমান। ইতঃমধ্যেই ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৬’শ ৮৩ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গঠিত তদন্ত কমিটির নিরীক্ষায় । তদন্তে বাকি টাকা আত্মসাতের প্রমাণও পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীরা। এর প্রেক্ষিতে গত ২০ ডিসেম্বর স্কুল কমিটির সভাপতি একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষককে। তাতে প্রমাণিত দুর্নীতির বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম নোটিশের জবাব না দিয়ে উল্টো অসুসথতা জনিত ছুটির আবেদন করেন। সাথে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র এবং কোভিট টেস্টের রিসিট প্রদান করেন।
স্কুল সভাপতি আবেদনটি মঞ্জুর করে তাকে দুই মাস ছুটি প্রদান করেন। তাছাড়া এই সময়ে দায়িত্ব পালনের জন্য স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক বিজয় কৃষ্ঞ ঘোষ কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী ৭ জানুয়ারী শেষ হয়ে আসছে। তাই নিজের পিঠ বাচাঁতে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দিয়ে ছুটির আশ্রয় নিয়েছেন শাহ আলম। পরবর্তিতে নতুন কমিটি আসলে তাদের সাথে লিয়াজোর চেস্টা চালাবেন তিনি। তবে এসব করেও তার শেষ রক্ষা হবেনা বলে দাবি করেছে সংস্লিষ্টরা। স্কুলে কর্মরত একাধিক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির ১০ লাখ টাকার বেশী ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। আরো তদন্ত করলে কেচো খুড়তে সাপ বেড়িয়ে আসবে। তাই তিনি নিজেকে বাচাঁতে এখন নানান ফন্দিফিকির আটছেন।
অভিযোগ, তদন্ত প্রতিবেদন ও নীরিক্ষা রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের ১২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯’শ সত্তোর টাকা শাহ আলমের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে রাখা, উন্নয়নের নামে ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ চেষ্টা, ছাত্রীদের বৃত্তির ১ লাখ ৯’শ পঞ্চাশ টাকা নিজ একাউন্টে রাখা, পাঠ্য সূচীতে অবৈধভাবে গাইড বই অন্তুর্ভূক্তি করণ, ভর্তি ফরম বিক্রির ৭০ হাজার টাকা একাউন্টে জমা না দেওয়া, পুরাতন আসবাব পত্র বিক্রির টাকা, খন্ডকালিন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, ভুয়া রেজুলেশন তৈরী করা সহ গুরুতর বেশ কিছু অভিযোগের ইতঃমধ্যে অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ