বাণী ডেস্ক।।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, আমরা বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরী, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় এবং আপনাদের সরাসরি দেখে সম্মান জানিয়ে আমরা আরও গর্বিত, উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত হই। বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশই সর্ব প্রথম নিজের জীবন বাজি রেখে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশটাকে স্বাধীন করেছিল । তাই প্রতিবছর ঘটা করে আপনাদের কাছে পাওয়ার পাশাপাশি আরও বেশি বেশি সামনে পেতে চাই।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের অবদান স্মরণে বিএমপি’র অফিসার্স মেস সম্মেলন কক্ষ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের অবদান স্মরণে, বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি আরও বলেন, যে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কারণ নিয়ে সীমাহীন কষ্ট শিকার করে নিশ্চিত মৃত্যু যেনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেই লক্ষ্য, চেতনা ও পূর্বশর্ত বাস্তবায়নে আমরা রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের ভেতরকার নেতিবাচক প্রথা, অপসংস্কৃতি কাটিয়ে পরিবর্তিত এক জনগণের প্রথম ভরসাস্থল পুলিশ হতে অনেকটাই সফল হয়েছি এবং বিভিন্ন উপায়ে জনগণের মুখোমুখি হয়ে দোরগোড়ায় নির্ভেজাল সেবা নিশ্চিত করতে তৎপর হয়ে কাজ করছি।
এর আগে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। পরে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে যুদ্ধকালীন সময়ের তাদের গৌরব মাখা স্মৃতি সকলের সামনে তুলে ধরেন।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) রাসেল এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।