সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর: জয় হয়েছে মানবতা হেরে গেছে রাজনৈতিক নেতারা, মানবতার জয় চিরদিন সেটি আবারও প্রমান করলেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শহিদুল ইসলাম হাওলাদার নামে এক যুবক। তিনি তার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পরা উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের গুয়াবাড়ি জোড়া পোল হইতে নুর মোহাম্মদ গোমস্তা বাড়ি পর্যন্ত তিনযুগে সংস্কার না হওয়া নিশ্চিহৃ প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা পুনঃ নির্মান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শহিদুল ইসলাম উপজেলা মঠবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব ইন্দ্রপাশা গ্রামের মৃত আবুল হাসেম হাওলাদারের পুত্র। শহিদুল ইসলাম এর পূর্বে প্রবাস জীবনে ১০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে একটি মসজিদও নির্মান করেছিলেন। প্রবাস থেকে চার বছর পূর্বে স্বদেশে ফেরা ঐ যুবক এলাকার সাধারন মানুষের দুর্ভোগ লাগব করতে পৈত্রিক জমি বিক্রয় করে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করে দুই কিলোমিটার ভাঙ্গা চোরা খানা খন্দে ভরা চলাচলে অযোগ্য রাস্তা পুনঃ নির্মান ইতিমধ্যে শেষ করে এনেছেন। তিন সন্তানের জনক শহিদুল ইসলাম প্রবাস জীবনে অর্জিত সকল অর্থ সমাজ সেবায় ব্যয় করেছেন। হার না মানা ঐ যুবক বর্তমানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিজ গ্রামে একটি খুপরি ঘরে বসবাস করেন। বর্তমানে তার পেশা কৃষি কাজ। তাই সমাজ সেবার জন্য রাস্তা পুনঃ নির্মানের অর্থের যোগান দিতে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করতে পিছ পা হননি তিনি।
এলাকাবাসি জানান, দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবৎ রাস্তাটি ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন নিবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। এমন অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারেননি এলাকার শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। তিনি এলাকার মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য নিজ অর্থায়নে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন।
শহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তাটির বেহাল ও মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রাস্তাটি নিজ অর্থায়নে পুনঃ নির্মান করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন দেখা যাক কতটুকু সামনে এগোনো যায়। তিনি আরও বলেন, স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ সাধারন মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই সড়কের বেহাল দশা চেয়ে চেয়ে আর কতদিন দেখা যায়। কত দিনই বা দুর্ভোগ সহ্য করা যায়। এসব ভাবনা থেকে আমাদের ইউনিয়নের সবচেয়ে পুরাতন রাস্তাটির পুনঃ নির্মান কাজে নিজেকে নিয়োগ করেছি।
