ডেস্ক রিপোর্ট: ৩০ জানুয়ারি শনিবার সকালে অন লাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মোঃ আক্তারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, শারীরিক অত্যাচার ও হয়রানিমূলক একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের এর অভিযোগ এনে ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনয়াতনে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী স্বপ্না আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০০৮ সালে খান আক্তারুজ্জামানের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সু-সম্পর্কের সুবাদে সে তার ডেভলপমেন্ট ব্যবসায় অংশীদার ও লভ্যাংশ প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে দু’টি চুক্তিপত্র মূলে সর্বমোট ৬৮ লক্ষ টাকা তার নিকট হতে গ্রহণ করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও চুক্তি অনুযায়ী কোন লভ্যাংশ প্রদান না করে বরং তার দেওয়া সমস্ত টাকা সে আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এমতবস্থায় স্বপ্না আক্তার আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার আসামী পাওনা টাকা পরিশোধের মুচলেকা বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করে জামিন লাভ করে। তিনি বলেন, পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ এম.এম ২১নং আদালতে বদলি হলে আসামী আক্তারুজ্জামান মিথ্যা তথ্য ও আদালতকে প্রভাবিত করে ক্যান্টনমেন্ট থানার প্রতিবেদন আসার পূর্বেই গত ১৮/১১/২০১৩ইং তারিখে মামলাটি খারিজ করায়। অথচ সংশ্লিষ্ট থানার প্রতিবেদন বিগত ২৪/১১/২০১৩ইং তারিখে কোর্টে প্রেরিত হয়। তিনি বলেন, পরবর্তীতে প্রতারক আক্তার তার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তি দ্বারা মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে তাকে হয়রানি করতে থাকে। বাড়ি নির্মাণের জন্য আনা নির্মাণ সামগ্রীও সে লুট করে নিয়ে যায়। যা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা নং-৮(৯)১৯ হিসাবে বিচারাধীন রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সে বিগত ১৯/০৫/২০২০ইং তারিখে রমজান মাসের ইফতারের মুহুর্তে র্যাব সদস্য এস আই কাউসার ও নবী নগর থানার এস আই আজিজ দ্বারা স্বপ্না আক্তারের পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। তিনি জানান, অর্থের বিনিময়ে পুলিশকে ব্যবহার করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রতারক আক্তার তার নিকট হতে অনেক টাকা আদায় করে। পরিশেষে মিথ্যা নকল টাকার ব্যবসায়ী ও মাদক মামলায় তাকে জেলে পাঠিয়ে সর্বশান্ত করেন। তিনি আরো জানান, এর আগেও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন সহ ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একাধিক ব্যক্তির ভূমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে খান আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। যা ইত্যিমধ্যে একাধিক পত্রিকায় খবর এসেছে। এতকিছুর পরও জামাত-শিবিরের দোষর ভূমিদস্যু, প্রতারক খান আক্তারুজ্জামান বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাই ভূক্তভোগীরা জানতে চায় তার ক্ষমতার উৎস কোথায়। ইত্যিমধ্যে এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ মহা-পরিদর্শক ও র্যাব প্রধান এর নিকট সাহায্য চেয়ে তিনি লিখিত আবেদন করেন।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বপ্না আক্তারের মা লাভলী বেগম, ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান দুলাল ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। তাছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের প্রধান সম্বনয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, পিডিপি কেন্দ্রীয় নেতা মাকসুদ আলম চৌধুরী, এ্যাড. ফিরোজ আলী মন্ডল প্রমুখ।
