অনলাইন ডেস্ক: জামায়াতের সাবেক এক নেতার স্ত্রীর মর্যাদা পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এক নারী। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা জামায়াতের আমিরসহ বিভিন্ন মহলে একাধিক অভিযোগ করেছেন তিনি।
জামায়াতের সাবেক ওই নেতার নাম মো. সরোয়ার হোসাইন মোল্লা ওরফে বাদল কাজী। তিনি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি এবং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া বাদল একজন নিকাহ-রেজিস্ট্রার (কাজী)। আর ভুক্তভোগী উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা।
ওই নারী অভিযোগে করে বলেন, কয়েক বছর আগে উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু দুবছর পর তাদের ছাড়ছাড়ি হয়ে যায়। পরে মো. সরোয়ার হোসাইন মোল্লা ওরফে বাদল কাজীর সঙ্গে ২০১৯ সালে তার পরিচয় হয়। তারপর থেকেই বাদল তার পিছু নেয় এবং মাঝেমধ্যে তাকে ফোন দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকেসহ তার বৃদ্বা মাকে ম্যানেজ করে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
তিনি আরও বলন, তাদের বিয়ের সকল কার্যক্রম বাদল নিজেই সম্পন্ন করেন। সেই থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতে শুরু করে। ওই সময়গুলোতে বাদল বলতেন, তিনি উপজেলা জামায়াতের বড় নেতা হওয়ায় এবং ইসলামের সঠিক কথা বলার কারণে আওয়ামী লীগের লোকজন তার নামে গত কয়েক বছরে অনেক মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তাই বিয়ের বিষয়টা কিছুদিন গোপন রাখতে হবে। এভাবে তাদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ৮ মাস চলছে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল স্থানীয় ব্যক্তিরা বাদলের কাছে তার বিয়ের কাবিন দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। পরে কাবিনের একটি কাগজ বাদল বাসায় নিয়ে আসলে তাতে দেখা যায় দেনমোহর ৫ লাখ টাকার পরিবর্তে মাত্র ১০ হাজার টাকা। তাও আবার (উসুল) পরিশোধ। বাদলের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আরে বোকা গ্রামবাসীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আপাতত একটি নকল কপি তৈরি করেছি। বিষয়টি নিয়ে তুমি কোনো চিন্তা করো না। কারণ পাঁচ লাখ টাকার কাবিনের মূল কপি আমার অফিসে সংরক্ষণ আছে।” তার কিছুদিন পর ফোন করে বাদল বলেন, “তুমি আমাকে ভুলে যাও সোনা। তোমার সঙ্গে আমার এখন আর কোনো সম্পর্ক নাই। আমি তোমাকে তালাক দিয়েছি।”