১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জ্বরের রোগীকে মাথার এক্স-রে দিলেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ডাক্তার!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক বৈশাখী বড়ালের বিরুদ্ধে টেস্ট বাণিজ্য ও রোগী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া হাসপাতালে জ্বরের জন্য চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে মাথার এক্স-রেসহ ছয়টি টেস্ট দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে এ বিষয়ে আবিয়ান হাসান নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ঝালকাঠি জেলা কল্যাণ সমিতি’ নামে একটি গ্রুপে পোস্ট করে এ কথা জানান।

পোস্টে আবিয়ান হাসান উল্লেখ করেন, ‘ডাক্তার বৈশাখী বড়াল আপনাকে নিয়ে আজকে লিখতেই হলো, ৩-৪ দিন যাবত আমার ছোট ভাইয়ের হালকা জ্বর, অরুচি ও হালকা বমি। এই হচ্ছে তার সমস্যা। এ ছাড়া কোনো সমস্যা নেই। শনিবার সকালে টিকিট কেটে ডা. বৈশাখী বড়ালকে দেখাই। তারপরে তিনি ৫-৬টা টেস্ট দিলেন। তাও কিনা আবার মাথার এক্স-রে। অথচ মাথায় কোনো সমস্যা নেই। তাহলে এক্স-রে কিসের? তার সঙ্গে দিল ডায়াবেটিস টেস্ট। সেটাও বা কেন দিবে?

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিবিসি এবং টাইফয়েড টেস্টটা ঠিক আছে। এ ছাড়া বাকি টেস্টগুলো কিসের জন্য?। ডাক্তারের চেম্বারে পাশেই দাঁড়ানো ছিল এক মহিলা। তিনি নিয়ে গেল মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্টের জন্য। এরপর ভাই আমাকে জানায় এসব বিষয়ে। তখন আমি বলছি টেস্ট করতে হবে না আমার কাছে চলে আয়।

আমার কাছে আসার পরে ওরে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল জন্ডিস হয়েছে। তাহলে কথা হচ্ছে এই যে, ডায়াবেটিসের টেস্ট ও মাথার এক্স-রে, এগুলো কিসের জন্য? এরপরে আমি তাকে নিয়ে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি জানান জন্ডিস হয়েছে। জন্ডিসের জন্য দুয়েকটা টেস্ট ও কিছু ওষুধ দিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্রামে থাকতে বলেছে।

সেই পোস্টে সাদিয়া সাবরিন নামে একজন কমেন্ট করে বলেন, ‘ডাক্তার দেখাতে গেলেই একগাদা টেস্ট। এই বিড়ম্বনায় প্রত্যেকটা রোগী ও তার পরিবার হয়রানি হচ্ছে। আর একজন রোগী ও তার পরিবারও যেহেতু উদ্বিগ্ন থাকে যার ফলে অপ্রয়োজনীয় বুঝেও এসব টেস্টের প্রতিবাদও ডাক্তারের উপরে গিয়ে করতে পারে না। এর প্রতিকার আসলেই জানা নাই।

আফনান খান নামে আরেকজন লিখেন, তারা এমনটাই করে। যে কোনো সমস্যা নিয়ে যাক না কেন সবাইকে টেস্ট দিয়া দেয়। যেন তারা টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা করতে জানে না। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেওয়া উপহারের লোভে তারা এমন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক বৈশাখী বড়াল বলেন, আমার কাছে রোগী আসলে তার প্রয়োজনে টেস্ট দিয়েছি। রোগীরা যদি ডাক্তারের চেয়ে বেশি বুঝে তাহলে আমাদের কাছে আসার দরকার কী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ