ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: ঝালকাঠিতে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উঠান বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় শহরের কীর্ত্তিপাশা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত অন্যরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম রুহুল আমীন রেজভী, সুলতান হোসেন খানের সমর্থক কেএস জাহিদ, মনির খান, রুবেল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মিলু, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম সৈকত, ডিবিসি নিউজের অলোক সাহা ও আমাদের বার্তার প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সুইট।
এ ঘটনায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সকালে সুলতান হোসেন খানের ছোট ভাই হেমায়েত উদ্দিন খান এ মামলা দায়ের করেন।
চেয়ারম্যানপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলফি শাহরুন শুভ, ইশতিয়াক আহমেদ শোভন ও তুহিন হাওলাদার।
এছাড়াও এ মামলায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিল রেজাউল করিম জাকির, পৌর কাউন্সিল কামাল শরিফ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিল হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মধু, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজকেও আসামি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে কীর্ত্তিপাশা মোড়ে উঠান বৈঠকের আয়োজন করেন দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. সুলতান হোসেন খান। সভার শেষ দিকে মো. সুলতান হোসেন খান বক্তব্য শুরু করলে অতর্কিতভাবে হামলা করে প্রতিপক্ষ। এতে মো. সুলতান হোসেন খানসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুলতান হোসেন খানসহ কমপক্ষে ১০ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত মো. সুলতান হোসেন খানের সমর্থক আহত কেএস জাহিদ বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী খান আরিফুর রহমানের সমর্থক জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে গাড়ীড়ি ভাঙচুর করে। সুলতান হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়।
তবে আনারস মার্কার প্রার্থী খান আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কীর্ত্তিপাশা মোড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সভায় কে বা কারা হামলা করেছে তা আমি কিছুই জানি না। তবে কীর্ত্তিপাশা মোড়ে দোয়াত কলম মার্কার সমর্থকরা আমার আনারস মার্কার অফিস ভাঙচুর করেছে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহিতুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।