নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঝালকাঠির নলছিটিতে এক কসাইয়ের বাড়ি থেকে একটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মল্লিকপুর এলাকায় কসাই লতিফের বাড়ি থেকে গরুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় গরুর মালিক মো. শাহআলম হাওলাদার। তবে কসাই লতিফের দাবি, গরুটি তিনি তিমিরকাঠি নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক শহিদুল ইসলামের ছেলে ইমরানের কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকায় কিনেছেন। ক্রয়কালে তিনি জানতেন না এটা চোরাই গরু।
গরুর মালিক উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তিমিরকাঠি গ্রামের শাহআলম হাওলাদারের ছেলে মেহেদী হাসান জানায়, সোমবার দুপুরের দিকে স্থানীয় কুমারখালি বাজার সংলগ্ন একটি মাঠে গরুটি বাঁধা ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে মাঠ থেকে গরুটি চুরি করে পা রশি দিয়ে বেঁধে একটি ভ্যানগাড়িযোগে নলছিটি উপজেলা শহরে নিয়ে যায় ইমরান। পরে লতিফ কসাই নামে একজনের কাছে গরুটি বিক্রি করে। গরুটি কুমারখালি বাজারে এনে ভ্যানগাড়িতে তোলার সময় স্থানীয় দুজন লোক ঘটনাটি দেখতে পান। তারা ইমরানের কাছে গরুটির পা রশি দিয়ে বেঁধে ভ্যানে তোলার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, গরুটি ক্রয় করে নলছিটি শহরে নিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব, তাই ভ্যানগাড়িতে নিচ্ছেন।
কুমারখালি বাজারের ওই দুই ব্যক্তির দেয়া তথ্যানুযায়ী খোঁজখবর নিয়ে গরুটি লতিফ কসাইয়ের বাড়িতে আছে বলে সন্ধ্যার দিকে জানা যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে গরুটি শনাক্ত করে নিতে চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। পরে দপদপিয়া ইউনিয়নের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে নিয়ে ফের ওই কসাইয়ের বাড়িতে গেলে তিনি গরুটি দিয়ে দেন।
কসাই লতিফ বলেন, গরুটি ইমরানের কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকায় গরুটি কেনার পর আমি বাড়িতে নিয়ে যাই। গরুটি চুরি করে আনা হয়েছে-এটা আমার জানা ছিল না। পরে যখন জানতে পেরেছি এটা চোরাই গরু, তখন মালিককে ফেরত দিয়ে দিয়েছি। আর গরু বিক্রির পর ইমরানকে খুঁজে পাচ্ছি না। তবে আমি তার ছবি ও ঠিকানা সংগ্রহ করে রেখেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চোরাই গরু বিক্রি করে টাকা নিয়ে সোমবার রাতে বরিশাল যাওয়ার পথে ইমরান অন্য একটি ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ কারণে গরু চুরির ঘটনায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’’