১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ঝালকাঠিতে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঝালকাঠির নলছিটিতে দুই ইউপি সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে দপদপিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী মো. হাসান বিশ্বাস বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে উপজেলা শহরে যাওয়ার পথে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের সমর্থকরা সাতঘর এলাকায় তার গতিরোধ করে। এসময় হাসান বিশ্বাস মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে বাড়ির দিকে ফেরার চেষ্টা করলে মামুনের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। এ খবর পেয়ে হাসান বিশ্বাসের সমর্থকরা ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে আসলে কয়া বাজার এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষে শহিদ মল্লিক, আশ্রাব হাওলাদার, সুমন হাওলাদার, আলাল বিশ্বাস, বাপ্পারাজ মল্লিক, হাসানাত রাঢ়ি, শুক্কুর খান, পারুল বেগমসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাতে গেলে মামুনের সমর্থকরা অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর এবং ড্রাইভারকে পিটিয়ে জখম করে। পরে পুলিশ ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলের আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছেন র‌্যাবের সদস্যরাও।

মেম্বার প্রার্থী হাসান বিশ্বাস অভিযোগ করেন, আমার এক নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ইন্দনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের লোকজন আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। এ হামলার নেতৃত্বে ছিলেন মামুনের ভাই মাসুম হাওলাদার। তারা আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও তাদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছে।

অন্যদিকে মেম্বার প্রার্থী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পাশ্ববর্তী ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হাসান বিশ্বাস আমার ভাই মাসুম হাওলাদারকে মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। হাসান বিশ্বাসের লোকজন আমার আত্মীয়-স্বজন ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি আহম্মেদ বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জিঙ্গাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ