ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: ফিল্ম না থাকায় দেড় মাস ধরে এক্স-রে সেবা বন্ধ রয়েছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে। লোকবলের অভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না আলট্রাসনোগ্রাফিও। তাই বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে এসব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, দেড় মাস পার হলেও সংশ্লিষ্ট খাতে অর্থ বরাদ্দ ও দরপত্র নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় এক্স-রে ফিল্ম কেনা সম্ভব হয়নি। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও বাইরে থেকে এক্স-রে করতে আসা রোগী ও স্বজনদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের টেকনিশিয়ান দিলিপ কুমার বলেন, হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বেশ ভালো মানের। কিন্তু ফিল্মের অভাবে ৩১ জুলাই থেকে এ সেবা বন্ধ রয়েছে। ফিল্ম কবে হাতে পাওয়া যাবে সেটি নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
প্রতাপ এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা সীমা আক্তার বলেন, সদর হাসপাতালে গেলে বলা হয় এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র বন্ধ। এসব যন্ত্র চালু করলে কম খরচে এখানকার মানুষ পরীক্ষা করাতে পারতেন।
হাসপাতালে আসা একাধিক রোগী বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে করাতে ২০০ টাকা লাগলেও বেসরকারি ক্লিনিকে ৪০০-৬০০ টাকা লাগে। কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি নেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া হাসপাতালে উন্নত মানের এক্স-রে মেশিন থাকলেও বাইরে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদ বলেন, ফিল্মের প্রয়োজন থাকলেও নানামুখী জটিলতায় সেটি কেনা সম্ভব হয়নি। দরপত্র গৃহীত এবং অনুমোদন হলে ফিল্ম পাওয়া যাবে।
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, মানুষের ভোগান্তি কমাতে কার্যকর নেওয়া হবে। আশা করি দ্রুত এর সমাধান করা হবে।