হারুন অর রশিদ,
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বাজারের সংযোগ সড়কের দুই পাশে সরকারী খাল দখল করে অবৈধভাবে বসবাসরতদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। এসময় ওই এলাকার রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা পাকা-আধাপাকা ১২৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আজ (বুধবার) বেলা ১১ টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। অভিযান পরিচালনা করেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওসার হোসেন ও উচ্ছেদে অভিযানে নিয়োগ করা বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তানভীর অহম্মদ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজারের খালের পাড়ে প্রতি রোববার সাপ্তাহিক হাট বসে। ওই হাটে বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার বাজার করতে আসে। গত ৫ বছর ধরে ধীরে ধীরে এই হাট- বাজারের পাশে কচুপাত্রা খালের দু’পাড় স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে প্রায় দু’শতাধিক পাকা আধাপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে। দোকান ও ইমারত নির্মাণ করায় একাধারে খাল সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে খালটির নাব্যতা কমে ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হচ্ছে। খালে নাব্যতা কমে যাওয়ায় নৌকা চলাচল করতে পারছে না এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বাজারে নিয়ে আসতে সমস্যা হচ্ছে। খালটির অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী।
বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৬ নভেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসন থেকে খালের পাড় থাকা ১২৩টি অবৈধ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থপানা ৭দিনের মধ্যে সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশ পেয়ে সরিয়ে নেওয়া তো দূরের কথা, দখলদারা নোটিশের তোয়াক্কা না করে দখল টিকিয়ে রাখার জন্য করেছিলেন প্রতিরোধ কমিটি। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি অবৈধ দখলদারদের।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে হাজার হাজার উৎসুখ জনতা কচুপাত্রা ব্রিজের উপড় দাঁড়িয়ে তা প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় এলাকার একাধিক সচেতন মহল বলেন, এই অভিযানে কচুপাত্রা বাজারটি তার প্রাণ ফিরে পাবে।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওসার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারদের একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় আজ বেকু দিয়ে ওইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ উপজেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।