১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

তালতলীতে খানাখন্দে ১০ ঘণ্টা আটকে বাস-ট্রাক, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি ::: বরগুনার তালতলীতে আমতলী-তালতলীর খানাখন্দে ভরা সড়কে বাস-মালবাহী ট্রাক আটকে যান চলাচল বন্ধ ছিল প্রায় ১০ ঘন্টা। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত এই যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দুটার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা এলাকায় বাস-ট্রাক আটকা পড়ে। পরে আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পরে বাস-ট্রাক দুটি সেখান থেকে সরানো হলে আবার যান চলাচল শুরু হয়।

দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি মালবাহী ট্রাক-যমুনা লাইন পরিবহন বাস সড়কের ভাঙা অংশে আটকে ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সঙ্গে সারাদেশের একমাত্র যোগাযোগের আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়কে কড়ইবাড়িয়া টু কচুপাত্রা পাঁচ কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশই খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব খানাখন্দে পানি জমে। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে ঢাকাগামী যমুনা লাইন পরিবহন ও বরিশালের উদ্দেশে যাওয়া একটি ট্রাক কচুপাত্রা নামক স্থানে আটকে যায়। উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও দীর্ঘ ১০ ঘন্টা আটকে থাকে বাস-ট্রাকটি। সড়কের মাঝে আড়াআড়িভাবে বাস-ট্রাকটি থাকায় অন্য গাড়ি পাশ পরিবর্তন করতে পারছে না। এতে উভয় পাশে কয়েক শ’গাড়ি আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় উপজেলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অ্যাম্বুলেন্সসহ সব ধরনের গাড়ির যাত্রীরা।

স্থানীয়রা জানায়, সড়কের ভাঙা স্থানে পানি জমে থাকায় মাঝে মাঝেই ছোট ছোট গাড়ি উল্টে যায়, ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। গত তিন বছর ধরে এ দুরবস্থা চলছে। পরিবহন মালিকরা সড়কে কয়েকবার ইট ও বালু ফেললেও তা কোনো কাজে আসেনি।

যমুনা গাড়ির কাউন্টার ইনচার্জ মিলন গাজী বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের ভাঙা স্থানে পানি জমে থাকে। সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী রাখতে ভাঙা স্থানে বালু ও ইটের খোয়া ফেলা হয়েছিল। তবে এতে কোনো কাজ হয়নি। দ্রুত এই সড়কটি সংস্কারের দাবি করছি।

তিনি জানান, ট্রাক থেকে মালামাল আনলোড করার পর দুপুর ১২টার দিকে বাস-ট্রাকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পর রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তাছাড়া যানজট নিরসনে কিংবা সড়ক থেকে আটকে পড়া গাড়ি সরাতে উদ্ধারকারী কাউকে দেখা যায়নি।

তালতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ইমরান হোসাইন রাসেল বলেন, পাঁচ কিলোমিটার সড়কের দরপত্র চলমান আছে। দরপত্র হয়ে গেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। ওই সড়কে সাময়িক চলাচলের জন্য বড় বড় খানাখন্দ ভরা স্থানে অস্থায়ীভাবে ইট ও বালু ফেলে ঠিক করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ