হারুন অর রশিদ,
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও তার খালাতো ভাই সোলায়মান হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে অন্যের ভোগদখলীয় জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জমির মালিক বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৬২২৬১৮৪৯০) ও ওই জমির রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক গাজী সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন গংরা ২০০৬ সালে তালতলী উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার মশিউর রহমান বাবুল ও আতিকুর রহমান বাদলের কাছ থেকে ৪৪নং বড়বগী মৌজার ৫০৬ ও ৫৫৮নং খতিয়ান থেকে ৪টি রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে ১৪.৫০ একর জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে গত ১৫ বছর ধরে ওই জমি তাদের ভোগদখলে আছে।
সম্প্রতি দাতা আতিকুর রহমান বাদলের কাছ থেকে একই খতিয়ানের জমি ক্রয়ের জন্য তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও তার খালাতো ভাই সোলায়মান হোসেন সবুজ একটি বায়না চুক্তি সম্পাদন করে। বায়না চুক্তি সম্পাদন করেই রাতারাতি জাহাঙ্গীর হোসেন গংদের ভোগ দখলীয় জমির বাউন্ডারীর মধ্যের রাস্তা সংলগ্ন হতে প্রায় দেড় একর জমির মধ্যে বাউন্ডারী দিয়ে বসত ঘর তুলে সাইন বোর্ড সাটিয়ে ফেলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও তার খালাতো ভাই সোলায়মান হোসেন সবুজ।
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও তার ভাই বায়না চুক্তি সম্পাদন করেই রাতারাতি আমাদের ভোগ দখলীয় জমির বাউন্ডারীর মধ্যের রাস্তা সংলগ্ন হতে প্রায় দেড় একর জমির মধ্যে বাউন্ডারী দিয়ে বসত ঘর তুলে, নতুন রাস্তা বানিয়ে সাইন বোর্ড সাটিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় আমি তালতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ এসে ওদের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ আমাদের দুই পক্ষকেই থানায় ডেকে নেয়। উভয় পক্ষের সম্পতিতে তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি ফজলুল হকে জোমাদ্দারকে প্রধান করে দুই পক্ষের চার জনকে শালিশ মেনে দেয়। ওই শালিশরা উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সিন্ধান্ত জানাবেন।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু সাংবাদিকদের জানায়, আমি কারো জমি দখল করিনি। দাতা আতিকুর রহমান বাদলের কাছ থেকে একই খতিয়ানের জমি ক্রয়ের জন্য আমি ও আমার খালাতো ভাই একটি বায়না চুক্তি সম্পাদন করি। দাতা আমাদেরকে ওই জমির মধ্যে যে স্থানটি দেখিয়ে দিয়েছে সেই স্থানটিতে আমরা মাটি কেটে একটি ঘর উঠাইছি ও সাইনবোর্ড টানিয়েছি।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে এনেছিলাম। উভয়পক্ষের সম্মতিতে তারা থানার বাহিরে শালিশদের মাধ্যমে মিমাংশা করবেন বলে জানান।