হারুন অর রশিদ আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে বৃষ্টির মধ্যেও টিসিবির পণ্য পেতে অপেক্ষা করছেন সাধারণ জনগণ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজার পরিস্থিতি ক্রেতাদের অনুকূলে না থাকায় সকাল ৭ টা থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবির) পণ্য ক্রয় করতে সড়কের মধ্যেই লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতারা তবে অধিকাংশ মানুষ পণ্য কিনতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে।
সোমবার ১৭ সেপ্টেম্বর সরজমিনে তালতলী উপজেলার ৫ নং বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ভূমি অফিসের সামনে টিসিবি ডিলার খলিলুর রহমানের দোকানের সামনে বৃষ্টি অপেক্ষা করে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতারা। আগে আসলে আগে পাবেন এজন্য দূর-দূরান্ত থেকে এখানে স্বল্পমূল্য পণ্য কিনতে এসেছেন তারা। বৃষ্টিতে ভিজে অভুক্ত অবস্থায় লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টিসিবির পণ্য নেওয়ার আশায়। লম্বা লাইনের শাড়ি শেষ হওয়ার আগেই বিক্রি শেষ করে দোকান আটকিয়ে দুপুরের খাবার খেতে গেছেন ডিলার। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকেও সবার ভাগ্যে টিসিবির পণ্য না জুটার আশঙ্কা করেছেন তারা।
বড়বগী ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে টিসিবির পণ্য নিতে আসা আসমা, মনির, রফিক, নারগিসসহ কয়েকজন বলেন টিসিবি ডিলার দোকান আটকিয়ে বৃষ্টির মধ্যে আমাদের দার করিয়ে দুপুরের খাবার খেতে গেছেন। অথচ আমরা সকাল থেকেই এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি অভুক্ত অবস্থায়।
টিসিবির ডিলারের মাধ্যমে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, ডাল ৬০ টাকা ও তেল ১০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়। এজন্যই দূর-দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ সকাল থেকে এখানে এসেছেন। কম দামে পণ্য নিতে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
টিসিবির তালতলী আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. আবদার মোল্লা বলেন, টিসিবি ডিলার দোকান আটকে রেখে দুপুরের খাবার খেতে গেছে এই ব্যাপারটা তো আমি জানিনা। তবে আমার একজন প্রতিনিধি ওখানে থাকার কথা আমি খোঁজ খবর নিতেছি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, দোকান বন্ধ রাখার তো কথা না তবে আমি বিষয়টা দেখতেছি।