৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

দক্ষিনাঞ্চলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, দিন খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি

শামীম আহমেদ :: দক্ষিনাঞ্চল সহ বরিশালে হঠাৎ করেই জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। হালকাভাবে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। তবে সন্ধ্যার পর ঠান্ডার কারণে কেউ ঘর হতে বাইরে বের হচ্ছে না নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া। শীতের মাত্রা সন্ধ্যার পর পর বাড়তে থাকে আর রাতে প্রচন্ড বেড়ে গিয়ে সূর্য না ওঠা পর্যন্ত ঠান্ডা অত্যধিক বেশি থাকে। শীতের হিমেল হাওয়ায় জড়সড় হয়ে পড়েছে সাধারণ দিন খেটে খাওয়া মানুষ। হঠাৎ করে গত সপ্তাহ থেকে শীত পড়া শুরু করছে। বেশিরভাগ এলাকার রাস্তার পাশে বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে শীতের পোশাক। কমদামী পোশাক হলেও শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় উপচে পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড়। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায়।

দেখা যায়- শীতের পোশাক কেনার ধুম বরিশাল শহরের সিটি করর্পোরশনের সামনে। সাধারণ জনগণ বেশি দামে পোশাক কেনার সাধ্য অনেকের নেই। তাই কম দামী পোশাকেই সন্তুষ্ট তারা। অনেকে আবার নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক নিয়ে যাচ্ছে। দুই বা তিন জন দোকানি দাম হাঁকছে। ১০০, ১৫০ বা ২০০ টাকার মধ্যেই পোশাক ক্রয় করতে পারে। শীত বাড়ায় আরো দেখা যায় ভিন্নতা। গ্রামের দিকে শীতের মাত্রা অত্যধিক বেশি। গ্রামের রাস্তায়, মাঠে, দোকানের পারে সাধারণ জনগণকে আগুন পোহাতে দেখা যায়। খড়, গাছের পাতা, পুরাতন কাগজ একত্রিত করে আগুন জ্বেলে সকলে আগুন পোহাতে অনেককেই দেখা যায়।

বেলা ১০ টা অথবা ১১ টার পর থেকে শীতের তীব্রতা একটু কমতে থাকে। তবে দিন শেষ হতে না হতেই বাড়তে থাকে ঠান্ডা। রাত ১০ টার পরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা দক্ষিনাঞ্চলের রাস্তাঘাট। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে অনেক যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে দেখা গেছে পরিবহন চালকদের। গত এক সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। শীত ঋতুর পৌষ মাসের প্রথম দিকে এসে আবারো শীতের প্রকোপ বেড়েছে।

দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব মানুষ অনেকই ঘর থেকে বের হতে পারেনি। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের কষ্ট করতে হচ্ছে। যারা নিতান্ত হতদরিদ্র লোক তাদের বাধ্য হয়েই শীতকে অপেক্ষা করে গায়ে হালকা পোশাক পরেই কাজে বের হতে হয়। উপজেলার গ্রাম এলাকায় শীতের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। উত্তর দিক হতে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষই সন্ধ্যার পরেই ঘরে চলে যায়। দোকান গুলো অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়। কষ্টের মধ্যেও ভিন্নতা দেখা যায়, বাজারে শীতের শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের গুড় আসতে শুরু করেছে। গুড় আসায় বেশির ভাগ বাড়িতেই বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়। অনেকে আবার ভাই বোনদের, অনেক নতুন জামাতাদের শ্বশুর বাড়ির বাৎসরিক দাওয়াতের হিড়িক পড়ে। ধুম চলে পিঠেপুলির।”

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সর্বশেষ